কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, নির্ধারিত ছয়টি পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবারো সারাদেশে খুব শিগগিরই বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। তিনি বলেন, কারাদন্ড, অর্থদন্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে এবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশেষ অভিযানে কারাদন্ড, অর্থদন্ড এ দুটি দন্ডের ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আজ নগরীর ফার্মগেইটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) মিলনায়তনে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সুষ্ঠু বাস্তবায়ন পর্যালোচনা, ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, ড. মো. নজরুল আনোয়ার, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির পরিচালক এ কে নাজমুজ্জামান,বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণসহ পাট অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আজম বলেন, ‘আবারো ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’-এ সব পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং-এর জন্য আবারো ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণকে এ আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে পূর্বের ন্যায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মনিটরিং-এর জন্য আবারো নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০-এর ধারা ১৪ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংগঠিত হলে সর্বোচ্চ দন্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম