কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃশরীয়তপুর জেলার জাজিরায় উপজেলায় পদ্মার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সোমবার ওই উপজেলার কুন্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির একাংশ নদীগর্ভে ধসে পড়েছে । এ নিয়ে গত দুই মাসে শরীয়তপুরে ৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উচ্চবিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। খবর ইত্তেফাক
অনলাইনের।
নদীগর্ভে ভবন বিলীন হয়ে যাওয়ায় ওইসব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সামনে মাধ্যমিকের জেএসসি পরীক্ষা ও এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা, প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময় বিদ্যালগুলো নদীভাঙনের কবলে পড়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকাল থেকে কুন্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি একটু একটু করে নদীতে ভাঙতে থাকে। সোমবার ভবনটির একাংশ নদীতে ধসে পড়ে। বিদ্যালয়টিতে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভাঙনের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। দুই মাসের ভাঙনে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে জাজিরা উপজেলার সুরত খার কান্দি জগত্ জননী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলমিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা হাওলাদার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইরহাট উপজেলার ছৈয়াল পাড়া নান্নু মুন্সি কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের আলহাজ ইসমাইল মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকটি বিদ্যালয় বিকল্প স্থানে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে। দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় জায়গার অভাবে এখনও পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারেনি।
কুন্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলী আকবর বলেন, ২৪ ঘণ্টার ভাঙনে বিদ্যালয় ভবনটি একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন পাশের ইয়াকুব মাদবর কান্দি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নিচতলায় অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে বিদ্যালয় ভবন বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম