কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সাধের লাউ চিরিরবন্দরের ফিরোজ শাহকে বৈরাগী বানায়নি, বরং তাকে বানিয়েছে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। ফেরোমন পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে তিনি তার ভাগ্যকে পুরো ফিরিয়ে এনেছেন। ফিরোজ শাহ (৩৮) দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইয়াতিম খানা এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন শাহের পুত্র। বাবার মৃত্যুর পর সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে সংসার পরিচালনায় নামেন।
পৌত্রিক জমিতে সময় দেওয়া শুরু করেন। জমিতে তার সঙ্গী হয় সাধের লাউ। ৩ বছর ধরে তিনি জমিতে লাউ চাষ করছেন। এ বছর তিনি চিরিরবন্দরের দক্ষিণ নশরতপুর (বকখাওয়া পাড়া) এলাকায় ৬০ শতক জমিতে লাউ আবাদ করেছেন। এই লাউ তাকে একের পর এক স্বচ্ছলতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। ফিরোজ শাহ জানান, বীজ বপন থেকে তিন মাসের মধ্যে লাউ ধরা শুরু হয়। এক টানা তিন মাস উত্পন্ন হয়।
লাউ চাষ করে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি এখন অনেকেরই অনুকরণীয়। তিনি আরও জানান, ৬০ শতক জমিতে লাউয়ের বীজ থেকে চারা, ওষুধ, ঘিরানী, মাচা ও ফল আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। ৬০ শতক জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৬০০ পিস লাউ সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি লাউ পাইকারি বিক্রি করেন ১৮ টাকায়। এ পর্যন্ত তিনি ২০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। বর্তমানে যে লাউ বাগানে আছে- তা থেকে আরও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হবে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান জানান, এ উপজেলার মাটি এঁটেল-দোআঁশ। এ মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী। তাই যে কোনো সবজি চাষেই সাফল্য নিশ্চিত।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন/ কৃপ্র/ এম ইসলাম