কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলার সকল উপজেলাকে আগামী জুনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) স্থানীয় অফিস রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (আরপিবিএস) সঙ্গে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ জন্য আরপিবিএস এখন পর্যন্ত যে সব বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছেনি তাদের খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। খবর বাসস।
আরপিবিএস’র মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা জেলার পবা ও দুর্গাপুর উপজেলার সকল এলাকাকে এ বছরের শেষ দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব এলাকার যেসব বাসিন্দা এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সুবিধা পাননি, তাদের সংশ্লিষ্ট আরইবি কার্যালয়ে দরখাস্ত জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, আরপিবিএস জেলার পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, তানোর ও গোদাগাড়ি উপজেলায় ১৯৯৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। এতে গ্রাহকদের আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটেছে।
এ সময়ের মধ্যে আরপিবিএস ৪ হাজার ৮৫ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৪১ জন গ্রাহকের মধ্যে সংযোগ প্রদান করেছে। তার মধ্যে বসতবাড়িতে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৬, সেচ পাম্পে ২ হাজার ৭৫৮, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৮৫, শিল্পে ১ হাজার ৫৯ ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৭০টি সংযোগ দেয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ছাড়াও দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই।
এ কারণে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং ব্যাপক ও কার্যকর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি জানান, আরপিবিএস গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নীট ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় করেছে এবং আগের ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ২ কোটি ৪ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ করেছে। মোজাম্মেল হক বলেন, আরপিবিএস ১৯৯৬ সাল থেকেই বিদ্যুৎ সেবার মাধ্যমে জেলার কৃষি, শিল্প ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকার মতোই এ জেলার গ্রামাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক কাঠামো এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আরপিবিএস’র পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি জোরালো ভূমিকা রাখছে।