কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য মেধাশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মেধাসম্পদের উৎকর্ষতা সাধনে কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষার প্রসার এবং গবেষণা ও উন্নয়নখাতের বিকাশে কাজ করছে। প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল ও মহাবিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল তৈরি না করে কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে রবিবার ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর এফবিসিসিআই মিলনায়তনে ন্যাশানাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনপিও’র পরিচালক অজিত কুমার পাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (বিআইএম) সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার এএনএম শহিদুল্লাহ। সেমিনারে কৃষিসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, এফবিসিসিআই এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মজুরী কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আলোচনায় অংশ নেন। কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হালকা-পাতলা, ক্ষিপ্র ও শক্ত কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও আমদানির পরামর্শ দেন কৃষিমন্ত্রী।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে কাঙ্খিত পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের নীচে। এর পরিমাণ বাড়াতে হলে, দেশে প্রতিবছর যে বিশ লাখ শিক্ষিত জনগোষ্ঠি তৈরি হচ্ছে, তাদের পাঠক্রমে সৃজনশীলতা, কর্মমুখী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি) খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
এ লক্ষ্যে শিল্প কারখানায় মালিক সমিতির উদ্যোগে ক্লাস্টারভিত্তিক আর অ্যান্ড ডি সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করতে হবে। বৈশ্বিক সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশ এখনও অনেক নীচে অবস্থান করছে বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সফল কারখানার পদ্ধতি অনুসরণের তাগিদ দেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক অনলাইন/ কৃপ্র/ এম ইসলাম