কৃষি প্রতিক্ষণ সিরাজগঞ্জ : জেলার চৌহালি উপজেলা এনায়েতপুর তাঁত শিল্পে সমৃদ্ধ এলাকা । কিন্তু তাঁত শিল্পের সুতা প্রসেস মিলের বিষাক্ত বর্জ্য পুকুর ও খালে ফেলায় এলাকায় দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়। খালের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হওয়ায় নলকূপের পানি ব্যবহার করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। জেলার সিভিল সার্জন বলছেন, বিষাক্ত বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থা না নিলে মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। কয়েক বছর ধরে এনায়েতপুরের গোপালপুরে গড়ে উঠেছে বেশ কটি সুতা রং করার প্রসেস মিল। এসব কারখানার প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ রং করার বর্জ্য পানি উৎপাদিত হয়। যা পরিশোধনের কোন ব্যবস্থা না করে কর্তৃপক্ষ সরাসরি ফেলছে স্থানীয় পুকুর বা খালে।
প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার বর্জ্য পানি এসব পুকুর ও খালে ফেলায় দুষিত হয়ে পড়েছে এলাকার সকল নলকূপের পানি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য ফেলার কারণে এলাকার নলকূপে রঙিন আর দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি উঠছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের অন্য জায়গা থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তবে পরিশোধনাগার না করে প্রসেস মিলের বর্জ্য সরাসরি পুকুরে ফেলার কথা অস্বীকার করলেন মেসার্স ডাইনা মাসরাইসের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম।
প্রসেস মিলের বিষাক্ত বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানালেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোঃ মনজুর রহমান। দূষণের কথা স্বীকার করে স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুল হাসান। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও এনায়েতপুরে প্রায় ৩০টি সুতা প্রক্রিয়াজাত কারখানায় প্রতিদিন প্রায় একলক্ষ লিটার বর্জ্য তৈরি হয়।
কৃপ্র/ কিছলু/ কে আহমেদ/এম ইসলাম