এস এম মুকুল: রুপালি বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে যে চারটি দেশ মাছ চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করবে, তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশে প্রতিবেশ ব্যবস্থা মিঠাপানির মাছ চাষের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। জাতিসংেঘর খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশ সরকার ভিশন ২০২১-এ দেশের মাছের উৎপাদন ৪৫.০ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে যা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন বেশি।
দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ জোগান দেয় মৎস্য খাত ছবি : ইন্টারনেটঅর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অসামান্য। আমাদের দেশজ উৎপাদনের ৩.৬৯ শতাংশ, মোট কৃষি আয়ের ২২.৬ শতাংশ এবং রপ্তানি আয়ের ৪ শতাংশের অধিক আসে মৎস্য খাত থেকে। দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ জোগান দেয় মৎস্য খাত। আমাদের দেশে মোট বদ্ধ জলাশয়ের পরিমাণ ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৪১ হেক্টর। তার মধ্যে ২৬ হাজার হেক্টর পুকুর, ৫ হাজার ৪৮৮ হেক্টর হাওর-বাঁওড় এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৩ হেক্টর চিংড়ি খামার। বিভিন্ন উপাত্ত থেকে জানা যায়, দেশের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ বা ১১ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতে জীবিকা নির্বাহ করে। বছরে প্রায় ৬ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে এই সেক্টরে। নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ জলাধারের সংখ্যা হ্রাস পেলেও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য উৎপাদন বিস্ময়করভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী মাছের উৎপাদন ৪২ লাখ টনে উন্নীত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করছে।
উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন আশা: মাছের উৎপাদন সাফল্য উৎসাহজনক হলেও উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এর চেয়ে বহুগুণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। মৎস্য উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় থেকে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ এবং অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থান লাভ করেছে। বিবিএসের সর্বশেষ অর্থনৈতিক শুমারি অনুযায়ী দেশে গড়ে মাছের বার্ষিক উৎপাদন সাড়ে ৩৫ লাখ টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে চাষ করা মাছের পরিমাণই প্রায় ২০ লাখ টন। জাটকা সংরক্ষণের ফলে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে এখন সাড়ে ৩ লাখ টন। দেশের প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে সামাজিকভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে ৩৫ হাজার মেট্রিক টনের চিংড়ি উৎপাদিত হয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সঠিকভাবে চিংড়ি চাষ করা সম্ভব হলে দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হেক্টর জমিতে থাইল্যান্ডের মতো অর্থনৈতিক ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আড়াই লাখ টন চিংড়ি উৎপাদন করা সম্ভব। শুধুমাত্র ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার চিংড়ি উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ও প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণায় ১৬ শতাংশ অধিক উৎপাদনশীল রুই জাতীয় মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ৪৯টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
ফিরে আসবে দেশীয় মাছ: আশির দশকে বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের পাঙ্গাশ, রুই, কাতল, তেলাপিয়া চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত জাতের কই, শিং, মাগুর, শোল মাছের চাষ হারে বেড়েছে। কয়েক বছর ধরে দেশীয় প্রজাতির মাছ শোল, মাগুর, শিং, কৈ, পুঁটি, সরপুঁটি, বাইন, টাকি, পাবদা, ফলি, মলা, গোলসা, টেংরা, ভেদা, বোয়াল, কালিবাউশ চাষ করা হচ্ছে। সারা বছরই এসব মাছ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরও ৫৪ প্রজাতির মাছকে বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ, ২৮ প্রজাতির মাছ বিপন্ন ও ১২ প্রজাতির মাছকে মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তবে ভালো খবর হলো-সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ফিরে আসছে শিং, বাটা, সরপুঁটি, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, মাগুর, চিতল ও ফলি বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালনায় বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়াতে জলাশয় ভরাট ও দূষণ রোধের পাশাপাশি মাছের অতি আহরণ ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে পোনা সংগ্রহ বন্ধ করা, উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্তি ও বিল নার্সারি কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, দেশি প্রজাতির ছোট মাছের সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য ৩৮টি জেলার ৭৫টি উপজেলার ১৩৬টি প্রাকৃতিক জলাশয় পুনঃখনন করা হয়েছে। এসব জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ৫৭টি সরকারি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে দেশি প্রজাতির ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশি প্রজাতির মাছ চাষ ও ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৬ জন চাষিকে।
প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষে বিপ্লব: ১৯৮৬ সালে দাউদকান্দিতে প্রথম প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ শুরু করেন ধানুয়াখোলা গ্রামের সুনীল কুমার রায়। প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ প্রকল্পের ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, দাউদকান্দির সবচেয়ে বড় খামারগুলোর মধ্যে এশিয়া, প্রশান্ত, পানকৌড়ি ও খিরাই মৎস্য প্রকল্প ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। জানা গেছে, দাউদকান্দির বিভিন্ন গ্রামের ৬০ হাজার পরিবার চলছে মাছ চাষের আয় দিয়ে। এসব খামার থেকে বছরে লাভ হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষের। দাউদকান্দি উপজেলার ২০ হাজার বিঘা জমির প্লাবন ভূমিতে উৎপাদিত হয় ৮২ হাজার ৭৬৭ মেট্রিক টন মাছ। প্রতি মৌসুমে উৎপাদন হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকার মাছ। মাছের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে দূর হচ্ছে বেকারত্ব। এছাড়াও মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর, তিতাস, মনোহরগঞ্জ, লাকসাম এবং নাঙ্গলকোট উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাছ উৎপাদন হচ্ছে। চাষ হচ্ছে নানা রঙের দেশীয় মাছ- সরপুঁটি, তেলাপিয়া, রুই, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কৈ মাছ।
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ: আনুমানিক ৭৫০ বছর আগে চীনের ইয়াংঝি নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ শুরু হয়। তবে আমাদের দেশে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় খাঁচায় মাছ চাষ ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চাঁদপুর জেলার ডাকাতিয়া নদীতে থাইল্যান্ডের প্রযুক্তি অনুকরণে ২০০২ সাল থেকে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় মেঘনা নদীর রহমতখালী চ্যানেলে সাড়ে চারশত এবং পাঁচশত খাঁচায় মনোসেক্স তেলাপিয়া করা হচ্ছে; যা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে বছরে ৭০০ মে. টন রপ্তানিযোগ্য তেলাপিয়া। আমাদের দেশের নদী কিনারায় বসবাসরত জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জেলেগোষ্ঠী শুধুমাত্র নদী থেকে প্রাকৃতিক মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এসব মৎসজীবীকে সংগঠিত করে মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব, সে সঙ্হে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ করে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতিগুলোর প্রজনন মৌসুমে তাদের নিবৃত্ত করে নদীর প্রাকৃতিক মাছের মজুদ বাড়ানো ও বিভিন্ন মাছের প্রজাতি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ: ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে যে চারটি দেশ মাছ চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করবে, তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশে প্রতিবেশ ব্যবস্থা মিঠাপানির মাছ চাষের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। জাতিসংেঘর খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এর প্রতিবেদনে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশ সরকার ভিশন ২০২১-এ দেশের মাছের উৎপাদন ৪৫.০ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে যা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন বেশি। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনার পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ আহরণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে মাছ আহরণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৫তম। বঙ্গোপসাগরে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি ছাড়াও প্রায় ৫০০ প্রজাতির অর্থকরী মাছ রয়েছে। এই মাছের অতি সামান্যই আহরিত হয়। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রজয়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার আইনগত অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য আহরণ পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রতি বছর অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় উৎপাদিত মাছের একটা বড় অংশ, প্রায় ১০ লাখ টন নষ্ট বা অপচয় হয়ে যায়। এটা রোধ করতে পারলে মাছ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হবে।
মৎস্য রপ্তানিতে নতুন খবর: সরকার মাছ রপ্তানি করে বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আয় করছে। বাংলাদেশের মাছের ফেলে দেয়া অংশ দিয়ে তৈরি স্যুপ বিক্রি হচ্ছে পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নামিদামি রেস্তোরাঁয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, অপ্রচলিত এই পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ বছরে আয় করছে শত কোটি টাকা। ইউরোপসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এসব অপ্রচলিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রপ্তানিকারকদের সূত্রে জানা যায়, কার্প জাতীয় মাছের অাঁশ, চিংড়ির মাথা ও খোসা, কাঁকড়ার খোলস, মাছের বায়ু থলি, হাঙরের লেজ, ডানা, চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে- ইতালি, জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ থেকে চীন ও ভিয়েতনামে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ টন চিংড়ির খোসা, মাথা এবং প্রায় ৫০ টন কাঁকড়ার খোলস রপ্তানি হয়। এছাড়া কোরাল, লাক্কা, ঘোড়া মাছ, আইড়, বোয়াল, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছের বায়ু থলি রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি মাসে ১০০ টন মাছের ফোৎনা রপ্তানি করে আয় করছে ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া প্রায় ২০০ টন মাছের অাঁশ রপ্তানি হচ্ছে ইতালি, জার্মানি, কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে। প্রতিমাসে গড়ে ৮টি কন্টেইনারে প্রায় ৮০ টন হাঙ্গর জাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ ডলার। মৎস্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে নতুন আশাবাদে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দরকার ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা: নদীমাতৃক বাংলাদেশে পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান প্রবচনটি ছিল ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো_ নদী আছে পানি নাই, জলাশয় আছে মাছ নাই। সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা, জাতীয় উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এসব সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব। হাওর, বাঁওড়, বিল ও খালগুলোকে সুষ্ঠুভাবে তদারকি না করার কারণে এর প্রকৃত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগ ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ করা যেতে পারে।
লেখক: কৃষি বিশ্লেষক ও উন্নয়ন গবেষক/ কৃপ্র/এম ইসলাম