কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি খামারীরা ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রশংসা পাওয়ার মতো সাফল্য অর্জন করেছেন ।
শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস -২০১৬ পালন উপলক্ষে নগরীতে র্যালি-পরবর্তী এক আলোচনা সভায় পশুপালন বিশেষজ্ঞরা একথা বলেন।
তারা বলেন, মাসুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ডিম অত্যাবশ্যকীয়। খাদ্যের ভারসাম্য ও সকল বয়সের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ডিম খুব প্রয়োজন বলে তারা উল্লেখ করেন।
বিভাগীয় পশুসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে নগরীর টাউন হল অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এর আগে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও দাতব্য সংস্থা , চিকিৎসক, শিক্ষক – শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের সদস্য, পেশাজীবী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এক বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ডিএলএম’র বিভাগীয় পরিচালক ড. গোলাম মাওলা জগলুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোজাম্মেল হোসেন, রংপুর বিভাগীয় বিপিআইসিসি ইউনিট সভাপতি মাহবুব আলম, জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ও পোল্ট্রি খামারী মাহমুদুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দেশে ডিম উৎপাদনে পোল্ট্রি খামারীরা অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। যা মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে নারী, শিশু, গর্ভবতী নারীসহ সাধারণ মানুষকে তাদের পুষ্টি চাহিদা তথা স্বভাবিক বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়ার আহবান জানান।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম