কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে শুক্রবার রাতেই তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে একটি গ্রামের ২০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও বিলীন হয়ে যায়। গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত নদী ভাঙনের শিকার ও বাঁধে আশ্রিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ওই গ্রামের আরো শতাধিক পরিবার এখন চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর বিনাশী খেলায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত ধরে ওই ইউনিয়নের তৈয়বখাঁ গ্রামের ২০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানান। এতে ২০ বিঘা ফসলি জমিও নদীগর্ভে চলে যায়। অসংখ্য গাছপালা বিনষ্ট হয়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ওই এলাকার আরো শতাধিক পরিবার চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে ডাংরারহাট আজিজিয়া আলীম মাদ্রাসা, ডাংরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, নুরানী মাদ্রাসা, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাংরারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও মন্দির।
গত শুক্রবার রাতে তৈয়বখাঁ গ্রামের আমির হামজা, আশরাফুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, আ. কাদের, আ. গফুর, রব্বানী, রবিউল ইসলাম, আ. ওহাব, আমিনুল ইসলাম, আইনুল হক, মোছা. সাহেমা বেগম, সাহেরা বেগম, আঃ কাদের, ইছাহক, ইছব আলী, ফজলু মিয়া, ফজিলা বেগম ও মমিনুল ইসলামের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাযে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, রাতে হঠাত্ করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি করে লোকজন নিয়ে বৌ-বাচ্চাসহ ঘরগুলো কোনোরকমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু জিনিসপত্র নদীতে ভেসে গেছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম