কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা খুবই উদ্যোমী ও পরিশ্রমী। বিশ্বব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা নিয়ে নিজেদের নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের দ্বারা অতি অল্প সময়ে দারিদ্র দূর করে ভাগ্যবদল করতে সক্ষম হয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের ১৯৮টি পরিবার। এটি বিশ্বের মাঝে একটি রোল মডেল হতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন রাকুদিয়া গ্রামে সোশাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) নামের একটি এনজিও-এর আমন্ত্রনে “নতুন জীবন শীর্ষক প্রকল্প”-এর কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তৃণমূল উদ্যোক্তাদের কর্মস্পৃহা দেখে অভিভূত বিশ্বব্যাংকের প্রধান আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক আগামী দিনে আরো কাজ করবে বাংলাদেশের সাথে। যে সমস্ত গরীর নারীদের জীবন পরিবর্তন হয়েছে এই নারীদের সাথে কথা বলতে পেরে আমি খুবই খুশি।
সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রহমতপুর বিমানবন্দরে পৌঁছান বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট, পরে গাড়িতে করে চলে যান রাকুদিয়া গ্রামে। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সচিব মো. মেজবাউদ্দিন, সোস্যাল ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান এমআই চৌধুরী, এসডিএফ প্রকল্প পরিচালক এজেএম শওকত হোসেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা বেগম পারুলসহ প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
এরপর বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সাড়ে ৯টায় উজিরপুরের ভরসাকাঠিতে যান। সেখানে ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দেখেন। এই আশ্রয়কেন্দ্রে ভরসাকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়লেয় শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি নারিকেল গাছের চারা রোপন করেন। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় দেয়া সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল বিমান বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. জিম ইয়ং কিম।
কৃপ্র/ এম ইসলাম