কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে এনজিগুলোকে সরকারের সাথে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার ও এনজিও সমন্বিতভাবে কাজ করলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সহজতর হবে। এতে চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যেরও পরির্বতন ঘটবে। আজ সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স আয়োজিত ‘চরের টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা: নীতি নির্ধারকগণের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যালায়েন্সের সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চরের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা সব সময়ই ভাবেন উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, কিভাবে তা সম্ভব, সে বিষয়ে সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করলে সহজেই এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। চরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে তিনি এনজিও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে সোলার সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, তা খরচের জন্য বোর্ড গঠনের পরিবর্তে ফাউন্ডেশন গঠন করা যেতে পারে।
ফাউন্ডেশনের নেতৃত্ব সরকারের হাতে রেখেই বাজেটের অর্থ খরচ করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, চরাঞ্চলের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ স্থানীয় সরকার ও অ্যালায়েন্স মিলেমিশে করবে। এতে কোন সমস্যা হবে না বলেও তিনি জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নূরুজ্জামান এমপি, জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন এমপি এবং জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি।
চরাঞ্চলের সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয় উল্লেখ করে আরো বক্তৃতা করেন পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর, লালমনিরহাটের সংসদ সদস্য সফুরা বেগম, সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম, হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য হামাদুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, নীলফামারীর সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, ঠাকুরগাঁওয়ের ইয়াছিন আলী এমপি ও বরিশালের টিপু সুলতান এমপি।
অনুষ্ঠানে চরাঞ্চলের মানুষের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অক্সফার্মের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মুজাহিদুল ইসলাম নয়ন। স্বাগত বক্তৃতা দেন অ্যালায়েন্সের সদস্য শাহীন উল আলম।
এছাড়া চরাঞ্চল সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদের পাপিয়া বেগম ও জালালপুরের সাবিনা ইয়াসমীন তাদের জীবন-যাপনের সমস্যা তুলে বক্তৃতা করেন।