চাষা আলামীন জুয়েল: বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়, পুকুর, ডোবা এছাড়াও আবহাওয়া ও জলবায়ু হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পুরণ ও অল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে হাঁস পালন অত্যন-গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। হাঁস প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে থাকে, এই কারণে একজন খামারী হাঁসকে সামান্য পরিমাণ খাদ্য প্রদান করে সারাবছরই লাভজনক ভাবে হাঁস পালন করতে পারে। মুরগির চেয়ে হাঁস পালনে উৎপাদন খরচ অনেক কম।
হাঁসের জাত সমূহ : বাংলাদেশের প্রধান প্রধান হাঁস উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে হাঁসের জাত, তাদের শতকরা সংখ্যা ও বৈশিষ্ট্য নিম্মরূপ =
দেশী জাত–শতকরা ৪৫ ভাগ পালন হয়।
এদের বৈশিষ্ট্য—-ডিম ও মাংস উৎপাদন করে থাকে, বছরে ৭০-৮০ টি ডিম দেয় আবদ্ধ অবস্থায় । কিন্তু উন্নত ব্যবস্থাপনায় এগুলো বছরে প্রায় ২০০-২০৫ টি ডিম দেয়।
খাকি ক্যাম্পবেল—-শতকরা ৩০ ভাগ পালন হয়।
এদের বৈশিষ্ট্য—ডিম উৎপাদনের জন্য এই হাঁস খুব ভালো। শারীরিক ওজন বয়ঃপ্রাপ্ত হাঁসা ২-২.৫ কেজি এবং হাঁসী ১-১.৫ কেজি। বৎসরে একটি হাঁসি ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে। দৈনিক খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ ১৭৬ গ্রাম। প্রতিটি ডিমের ওজন গড়ে প্রায় ৬৯ গ্রাম। ডিমের নিষিক্ততার পরিমাণ ৭২ শতাংশ।
জিন্ডিং—শতকরা ২০ ভাগ পালন হয় ।
এদের বৈশিষ্ট্য —ডিম উৎপাদনের জন্য বেশ ভালো হাঁস। শারীরিক গড় ওজন বয়ঃপ্রাপ্ত হাঁসা ২.০০ কেজি এবং হাঁসি ১.৫ কেজি। দৈনিক একটি বয়স্ক হাঁসের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ১৬০ গ্রাম। বৎসরে ডিম পাড়ে প্রায় ২৭০ টি। গড়ে প্রতিটি ডিমের ওজন ৬৮ গ্রাম। ডিমের নিষিক্ততার হার ৮০ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান রানার—শতকরা ৫ ভাগ পালন হয়।
এদের বৈশিষ্ট্য—-ডিম উৎপাদনের জন্য মোটামুটি এই জাতের হাঁস। এ জাতের তিনটি উপজাত আছে। তার মধ্যে সাদা জাতটি বেশী প্রচলিত। দৈহিক ওজন বয়ঃপ্রাপ্ত হাঁসা ২-২.৫ কেজি এবং হাঁসী ১-২ কেজি। গড়ে বৎসরে একটি হাঁসি ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে। প্রতিটি ডিমের ওজন গড়ে প্রায় ৬৬ গ্রাম। ডিমের নিষিক্ততার পরিমাণ ৭৪ শতাংশ।
হাঁসের বাচ্চা প্রাপ্তি স্থানঃ—–
দেশের বিভিন্নস্থান থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করা যেতে পারে। তন্মধ্যে কেনদ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার নারায়নগঞ্জ উলেখযোগ্য। এছাড়াও কিছু আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার যেমনঃ দৌলতপুর, নওগাঁ এবং সোনাগাজী থেকেও হাসেঁর বাচ্চা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
নারায়নগঞ্জ — ফজলুল হক – ০১৭১২০৪৪৮৬২
সোনাগাজী, ফেনী –মুজিব , ০১৭১১০০৯২৮৯
নওগাঁ — হমিদ , ০১৭১১১৮৪২৩৫
কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার, দৌলতপুর, খুলনা — ০৪১ – ৭৬২৪১৮
এফআইভিডি (FIVD) এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা রামভদ্র গ্রামে তুষ পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। এনজিও এবং ব্যক্তি পর্যায়ে উৎপাদিত খামারীদের নিকট থেকেও হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করতে পারেন।
বাচ্চার ব্রুডিং কালীন ব্যবস্থাপনাঃ—–
ব্রুডিংকালে বাচ্চার মৃত্যুহার খুব বেশী, এসময় বাচ্চার যত্ন নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ে হাঁসের বাচ্চার তাপ, আর্দ্রতা, আলো, বায়ু চলাচল সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
ছক– হাঁসের বাচ্চা ব্রুডিংকালে প্রয়োজনীয় কৃত্রিম তাপ, আলো ও বায়ু চলাচল–
বয়স (সপ্তাহ)-তাপমাত্রা(ডিগ্রী ফাঃ)-আলো প্রদান(ঘন্টা)
১———————৯০————————–২০
২———————৯০————————–১৮
৩———————৮৫————————–১৪
৪———————৮০————————–১২
৫———————৭৫————————–১২
৬———————৭০————————–১২
ঘরে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে ক্ষতিকর গ্যাস বেরিয়ে যাবে, আর্দ্রতা ঠিক থাকবে ও বাচ্চা সুস্থ্য থাকবে ।
বাচ্চা ব্রুডিং ঘরে নেয়ার ১২-১৪ ঘন্টা পূর্ব থেকেই ব্রুডার জালিয়ে ঘর গরম করে রাখতে হয়, যেন বাচ্চা রাখার সময় লিটারের তাপমাত্রা ২৮ সেঃ – ৩১ সেঃ এর মধ্যে থাকে। দেখা গেছে প্রথম কয়েকদিনের ঠান্ডা এবং কম তাপমাত্রার কারণে বাচ্চাগুলো নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হয় এবং নাভী শুকাতে দেরী হয়। উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলো যথাযথভাবে অনুসরন করলে আশা করা যায় বাচ্চার মৃত্যুহার ২০ শতাংশ থেকে কমে ৩-৪ শতাংশ হবে।
হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ—-
গ্রামাঞ্চলে হাঁস অর্ধ আবব্ধ পদ্ধতিতে পালন করা হয়। পুকুর, খাল-বিল, নদী ইত্যাদিতে হাঁস চড়ে বেড়ায় এবং এখান থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে। অনেক খামারীগণ হাঁসকে শুধু ধানের কুড়া, চাল, গম এসব খেতে দেয়। সাধারনত বর্ষা মৌসুমে সম্পুরক খাদ্য হিসেবে বাচ্চা প্রতি ৫০ গ্রাম এবং বয়স্ক গুলোকে ৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। তবে শুস্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক খাদ্যের পর্যাপ্ততা কমে যাবার কারনে ঐ সময় খাবার পরিমান (৭০-৮০ গ্রাম) বাড়িয়ে দিতে হয়। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের পরিবর্তন আনলে হাঁসের ডিম উৎপাদন বেড়ে যাবে।
বিভিন্নব বয়সে হাঁসের খাদ্য তৈরীর নিয়ম—-
খাদ্য উপাদান-হাঁসের বাচ্চা(০-৬ সঃ)-বাড়ন্ত হাঁস(৭-১৯ সঃ)-ডিম পাড়া হাঁস (২০ সঃ তদুর্দ্ধ)
গম ভাঙ্গা———৩৬.০%—————–৩৭.০%—————–৩৭.০%
ভূট্টা ভাঙ্গা——–১৮.০%—————–১৮.০%—————–১৬.০%
চালের কুড়া——১৮.০%—————–১৭.০%—————–১৭.০%
সয়াবিন মিল—-২২.০%—————–২২.০%—————–২৩.০%
প্রোটিন কনসেনট্রেট২.০%—————-২.০%——————-২.০%
ঝিনুক চূর্ন———২.০%——————-২.০%——————-৩.৫%
ডিসিপি———-১.২৫%——————১.২৫%—————–০.৭৫%
ভিটামিন খনিজ মিশ্রিত০.২৫%———০.২৫%——————০.২৫%
লাইসিন——–০.১০%——————-০.১০%——————০.১০%
মিথিওনিন——০.১০%——————-০.১০%—————–০.১০%
লবন————০.৩০%——————-০.৩০%—————–০.৩০%
_________________________________________________
মোট = ১০০.০০ বা ১ কেজি ।
হাঁস পালন পদ্ধতিঃ——-
১)আবদ্ধ পদ্ধতিঃ–এই পদ্ধতিতে পুরোপুরি হাঁসগুলোকে ঘরের মধ্যে রেখে লালন পালন করা হয়। হাঁসের বাচ্চা (৪-৬) সপ্তাহ পর্যন্ত লালন পালন করা সুবিধা জনক। এই পদ্ধতি ৩ প্রকার যথা মেঝেতে লালন পালন, খাঁচায় লালন পালন এবং তারের জালের ফ্লোর।
ক) ফ্লোরে লালন পালনঃ এই পদ্ধতিতে মেঝেতে লিটার দ্রব্য দিয়ে হাঁস রাখা হয়। সমস্ত মেঝের ৪ ভাগের এক ভাগ খাবার দেবার জন্য অর্থাৎ খাবারের এবং পানির পাত্র রাখা হয়। পানি বের করে দেবার জন্য ছোট আকারের নিস্কাশন থাকে
খ) খাঁচায় লালন পালনঃ —-এই পদ্ধতিতে খাঁচাগুলো একটির পর একটি স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। ২-৩ সপ্তাহের বাচ্চার জন্য উপযুক্ত। প্রতিটি খাঁচায় ২০-২৫ টি বাচ্চা রাখা যায়। প্রতিটি বাচ্চার জন্য ১x১১.৫ বর্গফুট জায়গায় প্রয়োজন।
গ) তারের জালের ফ্লোরঃ—- এ পদ্ধতিতে ঘরের ফ্লোর হতে উচু করে তারের জাল দেয়া হয় এবং খাঁচাগুলি ১/২ বর্গ ইঞ্চি, ছিদ্রের হলে ভাল। মাচার চারপাশে ১-২ফুট বেড়া দিতে হবে যেন বাচ্চা পড়ে না যায়। ফ্লোরের তুলনায় ১/৩-১/২ পরিমান কম জায়গা লাগে।
২)অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতিঃ—- এই পদ্ধতিতে হাঁসগুলো রাতে ঘরে আবদ্ধ থাকে এবং দিনের বেলায় ঘরের সামনে চারণ (১০-১২ বর্গফুট) এ ঘুরে বেড়ায়। খাদ্য ঘরের ভিতরে অথবা চারণে দেয়া যেতে পারে। তবে সুবিধাজনক হবে চারণে দেয়া। ঘরের সাথে একটি পানির চৌবাচ্চা দেয়া যেতে পারে, যার প্রস্থ ২০”এবং গভীরতা ৬-৮” হয়। যাতে হাঁসগুলো সহজে পানি খেতে এবং ভাসতে পারে।
#নিচের ৩,৪ ও ৫ নং পদ্ধতি হাঁস পালনের সবথেকে লাভজনক পদ্ধতি. কারণ এই পদ্ধতিতে খাবার খরচ নাই . মুক্ত পরিবেশ থেকে হাঁস খাবার সংগ্রহ করে বিধায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন – মিনারেলস প্রকৃতি থেকেই পূরণ হয়ে যায় . তাই হাঁসের ডিম উত্পাদন ভালো থাকে .
৩)মুক্ত রেঞ্জ পদ্ধতিঃ —-এই পদ্ধতিতে হাঁসকে কেবলমাত্র রাতের বেলায় ঘরে আটকিয়ে রাখা হয় এবং দিনের বেলায় হাঁস বিভিন্ন জায়গায় যেমন নদীনালা, খাল-বিল, হাওড়, পুকুর, ডোবায় বেড়িয়ে খায়। পূর্ণ বয়স্ক হাঁসের জন্য ৩ ফুট জায়গা দরকার এবং বাড়ন-হাঁসের জন্য ২ বর্গফুট জায়গা দরকার।
৪)হারডিং পদ্ধতিঃ—– এই পদ্ধতিতে হাঁস গুলোকে (বাড়ন্ত এবং পূর্ণ বয়স্ক) কোন প্রকার ঘরে রাখা হয়না। যে সমস্ত জায়গায় খাবার আছে সেই সকল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন খাদ্য গ্রহণ করে রাতের বেলায় হাঁসগুলোকে কোন একটা উচুঁ জায়গায় আটকিয়ে রাখা হয় সকাল পর্যন্ত। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কিছুদিন খাওয়ানোর পর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন লোক একবার ১০০- ৫০০ টি হাঁস চড়াতে পারে।
৫)ল্যানটিং পদ্ধতিঃ—- এই পদ্ধতিতে বড় বড় বিল, হাওড়, জলাশয় এর আশে পাশে ঘর তৈরী করে হাঁস পালন করা হয়। হাঁসগুলো তাতে রাতের বেলায় থাকে। প্রতিটি ফ্লকে ১০০-২০০টি হাঁস থাকে।
বাসস্থান ও ঘরের ব্যবস্থাপনাঃ— স্থান নির্বাচনঃ—- খোলামেলা উচুঁ ও রৌদ্র থাকে এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিৎ। ড্রেন কাটার সুবিধা আছে এবং ঘাস জন্মাতে পারে এমন স্থান নির্ধারণ করা উচিৎ। ঘরের আশে পাশে গাছ বা জঙ্গল থাকা এবং হাঁসের ঘরের স্থান মুরগির খামারের পাশে ঠিক করা উচিত নয়। হাঁসের সংখ্যা এবং কি ধরনের ঘরে হাঁস পালন করা হবে তা বিবেচনা করে ঘর তৈরী করতে হবে। নিমেণ কুগুলো ঘরের চালার নমুনা দেয়া হলোঃ
১। তাপমাত্রাঃ— হাঁসের জন্য খুব বেশী বা কম তাপ ক্ষতিকর। ঘরের তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রী ফাঃ -৭৫ ডিগ্রী ফাঃ পর্যন্ত রাখাই সর্বোত্তম।
২। আর্দ্রতাঃ— হাঁসের ঘরের আর্দ্রতা ৭০% থাকাই বাঞ্চনীয়। অনুকল পরিবেশে এবং আবহাওয়ায় লোম গজানো, শারীরিক বৃদ্ধি এবং ডিম উৎপাদন ভাল হয়। ঘরের আর্দ্রতা ৭০% এর বেশী হলে ককসিডিয়া ও কৃমি হয়।
৩। আলোঃ —প্রথম ৬ সপ্তাহ রাতে আলোর ব্যবস্থা রাখা হলে খাদ্য বেশী খাবে এবং দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পাবে। ডিম পাড়া হাঁসের জন্য ১৪-১৬ ঘন্টা থাকা দরকার। এই অতিরিক্ত আলো কৃত্রিম বাল্বের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।
৪। বাতাস চলাচল ব্যবস্থা (ভেন্টিলেশন):— হাঁসের ঘরে শূষ্ক রাখার জন্য বাতাস চলাচল ব্যবস্থা খুবই জরুরী। ঘরের দেয়ালের শতকরা ৪০ ভাগ লম্বালম্বি তারের জালের বা বাঁশের সাহায্যে ছিদ্রওয়ালা বেড়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫। মেঝে এবং মেঝের পরিমাপঃ —-মেঝে অবশ্যই স্যাঁতস্যাতে মুক্ত হবে এবং কোন প্রকার গর্ত থাকবে না। ১-২ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চার জন্য ১/২ বর্গফুট, ৩-৪ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চার জন্য ১ বর্গফুট এবং ৫-৭ সপ্তাহ ও এর উপরের বয়সের হাঁসের জন্য ২ বর্গফুট জায়গার দরকার।
৬। খাবার ও পানির পাত্রঃ —-ঘরে পানির জন্য ওয়াটার চেনেল তৈরী করতে হবে যার প্রস্থ ২০” এবং গভীরতা ৮-৯”।
হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ— হাঁসের দুটো মারাত্বক রোগ হলো ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরা রোগ। টীকাদান কর্মসূচী নিয়মিত অনুসরণ করলে সম্পূনর্রুপে এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া আজকাল খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত রোগ যেমন আফলাটক্সিন ও বটুলিজম এর কারণে হাঁসের মৃত্যু ঘটতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই খাদ্য তৈরীর সময় বিশেষ করে ভুট্টাবীজ খুব ভালভাবে দেখে নিয়ে অন্যান্য খাদ্য উপাদানসহ খাদ্য তৈরী করলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
হাঁসের রোগ প্রতিরোধক টীকা দান কর্মসূচী—-
* ডাক প্লেগ রোগ– ডাক প্লেগ টীকা,দেশের সকল পশু চিকিৎসালয় পাওয়া যায়।
প্রথম মাত্রা ২১-২৮ দিন বয়সে দ্বিতীয় মাত্রা (বুষ্টার ডোজ) ১ম মাত্রার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ৩৬-৪৩ দিন বয়সে পরবর্তী প্রতি ৪-৫ মাস পর পর একবার ।বুকের মাংসে প্রয়োগ করতে হয় ।
* ডাক কলেরা রোগ– ডাক কলেরা টীকা,দেশের সকল পশু চিকিৎসালয় পাওয়া যায় ।
প্রথম মাত্রা ৪৫-৬০ দিন বয়সে দ্বিতীয় মাত্রা (বুষ্টার ডোজ) ১ম মাত্রার ১৫ দিন পর অথ্যাৎ ৬০-৭৫ দিন বয়সে,এবং পরবর্তী প্রতি ৪-৫ মাস পর পর একবার দিতে হবে।
টিকাটি ডানার তলদেশে পালক ও শিরাহীন স্থানে, চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়।
(তথ্য সংগৃহীত ও সংকলিত )
** এই পোস্টটি হাঁস পালনের একটি সর্বাধুনিক পদ্ধতি ও পূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। যারা হাঁস পালন করছেন বা করতে আগ্রহী, তারা এই তথ্য সংগ্রহে রাখলে উপকৃত হবেন ইনশাল্লাহ । সকল কৃষক ভাই ও বোনদের জন্য শুভ কামনায় — চাষা আলামীন জুয়েল **
কৃপ্র/ এম ইসলাম