‘পেঁচা দিয়ে ইঁদুর দমন করা গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা পাবে’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ইঁদুর আমাদের বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যের একটি প্রাণী। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা করতে ইঁদুরের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সময়ে সময়ে ইঁদুর ফসল ও কৃষকের শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়। জমির শস্য ও গোলার ফসল রক্ষার্থে ইঁদুর দমন করতে হয়। আমরা জানি ইঁদুরের প্রধান শত্রু পেঁচা, চিল, সাপ, বিড়াল প্রভৃতি। পেঁচা দিয়ে জৈবিক উপায়ে ইঁদুর দমন করা গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা পাবে। সেই সাথে কৃষকও স্বল্প খরচায় ফসলি জমির ও গোলার শস্য ইঁদুরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।
ইঁদুরের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ
বিশ্বের অন্যতম ইঁদুর উপদ্রুত এবং বংশবিস্তারকারী এলাকা হচ্ছে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এখানকার উপকূলীয় লোনা ও মিঠাপানির মিশ্রণের এলাকাগুলো ইঁদুরের বংশবিস্তারের জন্য বেশ অনুকূল। ফসলের মাঠ ছাড়াও এ অববাহিকায় অবস্থিত হাট-বাজার ও শিল্পাঞ্চলগুলোতেও ইঁদুরের দাপট বেশি দেখা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায় , প্রতি বছর ২ হাজার কোটি টাকার শস্য ইঁদুরের পেটে চলে যাচ্ছে। ইঁদুর যে শুধু দানাদার ফসলের ক্ষতি করে তা নয়, এরা অন্যান্য ফসল ও ফলমূল (যেমন- নারিকেল, আলু, ডাল, অন্যান্য সবজি) এবং আসবাবপত্রের ক্ষতি করে। বৈদ্যুতিক তার ও যন্ত্রপাতি এর হাত থেকে রেহাই পায় না। কাটাকাটির স্বভাব তার প্রকৃতিগত। এদের মুখের সামনের দিকে নিচের ও ওপরের পাটিতে একজোড়া করে কর্তন দন্ত থাকে, যার কোনো রুট ক্যানেল নেই। তাই সাড়া জীবন ধরেই তা বাড়তে থাকে। দাঁত ছোট রাখার জন্য এরা প্রতিনিয়তই কাটাকাটি করে। এক হিসাবে দেখা গেছে যে, ইঁদুর যে পরিমাণ খায় তার প্রায় দশগুণ সে কেটে নষ্ট করে।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে ইঁদুরের আক্রমণে বছরে আমন ধানের শতকরা ৫-৭ ভাগ, গম ৪-১২ ভাগ, গোলআলু ৫-৭ ভাগ, আনারস ৬-৯ ভাগ ফসল নষ্ট করে। গড়ে মাঠ ফসলের ৫-৭ শতাংশ এবং গুদামজাত শস্য ৩-৫ শতাংশ ক্ষতি করে। ইঁদুর শতকরা ৭ থেকে ১০ ভাগ সেচ নালাও নষ্ট করে থাকে। যা ফসলের উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলে। তাছাড়া ইঁদুরের মাধ্যমে মোট ৬০ ধরনের রোগ ছড়ায়। ইঁদুর মুরগির খামারে গর্ত করে মুরগির ডিম ও ছোট বাচ্চা খেয়ে ফেলে। বারি এর মেরুদ-ী প্রাণী বিভাগের হিসাবে ইঁদুর দেশের প্রতিটি মুরগির খামারে বছরে ১৮ হাজার টাকার ক্ষতি করে।
ইঁদুর ব্যবস্থাপনায় জৈবিক দমন
প্রক্রিয়ায় ইঁদুর ব্যবস্থাপনায় পেঁচা, বেজি, বিড়াল, গুঁইসাপ এবং কুকুরের ব্যবহার অপরিসীম। বর্তমানে বেজি বা গুঁইসাপের পরিবেশ বিপন্ন। গুঁইসাপের চামড়া মূল্যবান হওয়ায় এদের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে ইঁদুর ব্যবস্থাপনায় বিড়াল এবং কুকুরের ব্যবহার অপর্যাপ্ত। কারণ বিড়াল বা কুকুরকে ইঁদুর শিকার করতে হলে দীর্ঘ সময় নিয়ে ‘ক্ষেপ’ ধরতে বা ঊসনড়ংং করতে হয়। ফলে এদের ক্ষেত্রে ইঁদুর ধরার সফলতা কম। এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, পেঁচার খাদ্যাভাসে বা খাদ্য-শিকলে ইঁদুরের দেহাবশেষ সর্বোচ্চ, শতকরা প্রায় ৯৪ ভাগ অর্থাৎ খাদ্য-শিকলের ৯৪ ভাগ ইঁদুরের দখলে। শুধু তাই নয়, ইঁদুরের আবাসস্থল খুঁজে পেঁচা শিকার করে বিধায় এর শিকার-সফলতাও অনেক বেশি। তাছাড়া রাতে ইঁদুর ও পেঁচা দুটোই সক্রিয় হয় বলে মাঠের ইঁদুর ব্যবস্থাপনায় পেঁচার শিকার কৌশল ইঁদুরের নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে।
ইঁদুরের নীরব ঘাতক পেঁচা
প্রকৃতিতে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় সমস্যা। কিন্তু পেঁচা (Barn Owl) প্রাকৃতিকভাবে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের কৌশল প্রয়োগ করে। Owl মানে গোলাবাড়ি বা গোলাঘর এবং ঙষি মানে পেঁচা। ধারণা করা হয় যে, আগে গবাদিপশু বা ঘোড়ার আশ্রয়ের জন্য তৈরিকৃত গোলাবাড়িতে বা গোলাঘরে পেঁচা বাস করত বিধায় এদের নাম হয়েছে Barn Owl
পেঁচার শিকার কৌশল
পেঁচার শিকার কৌশলের দিকগুলো হলো এর অভিযোজিত চক্ষু, কানের ত্রিমাত্রিক শ্রবণ, তীক্ষè দৃষ্টি এবং পাখার গঠন। ইঁদুর বা ইঁদুরজাতীয় প্রাণীগুলো রাতে গোপনীয়ভাবে চলাফেরা করে কিন্তু রাতের অন্ধকারে চলাচলের এ কৌশল পেঁচার হাত থেকে এদের রক্ষা করতে পারে না। পেঁচার আছে বড় আকারের বিশেষভাবে অভিযোজিত চক্ষু, যার মাধ্যমে এরা অন্ধকারেও দেখতে পায়। শুধু তাই নয়, এরা দিনের বেলায় মানুষের চেয়ে স্পষ্ট দেখতে পায়। অন্যটি হলো কানের ত্রিমাত্রিক শ্রবণ।
পেঁচার মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ ত্রিমাত্রিকভাবে শোনার জন্য কাজ করে। এর ফলে সৃষ্ট শব্দ এবং তার অবস্থান, অন্য যে কোনো পাখির তুলনায় এরা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে। পালক দিয়ে তৈরি পেঁচার চ্যাপ্টা; হৃদপি-াকৃতির মুখের ডিস্কটি রাডারের মতো কাজ করে। ফলে পেঁচার কানে আসা শব্দটির উৎপত্তি এবং দিক নির্ণয় করতে পারে। পেঁচা তার বিশেষ ধরনের মাংসপেশির সাহায্যে ডিস্কের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। ফলে ইঁদুরজাতীয় প্রাণী কর্তৃক সৃষ্ট কিচিরমিচির বা অন্য যে কোনো শব্দের শব্দতরঙ্গের অবস্থান অন্ধকারের মধ্যে প্রায় ৩০ মিটার দূর হতে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে।
কানে শব্দ পৌঁছার সাথে সাথে পেঁচা সেদিকেই দৃষ্টি ফেরায়, ফলে শিকারটি মাথার সামনের দিকে অবস্থান করে বিধায় পেঁচার সহজেই শিকার ধরতে পারে । রাতে বিচরণকারী অন্যান্য পেঁচার তুলনায়, বার্ন (Barn) পেঁচার দুই কানেই এক সেট করে উন্নত অংশ রয়েছে, যার খোলা স্থানটি ভিন্ন ভিন্ন কোণে থাকায় ইঁদুর কর্তৃক উৎপন্ন উচ্চ বা নি¤œ ফ্রিকোয়েন্সির যে কোনো শব্দ, তা কোনো দিক থেকে (ডান-বাম-ওপর-নিচ) এবং কতদূর থেকে আসছে তা সঠিকভাবে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও নির্ণয় করতে পারে।
Barn Owl কেবল নিশাচরই নয়, তীক্ষè দৃষ্টির কারণে দিনেও এরা শিকার করতে সক্ষম। বিশেষ করে তাদের ক্ষুধার্ত বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য। শিকার ধরার সময় পেঁচা ইঁদুরের ওপর থাবা দিয়ে প্রথমে পায়ের নখর বা টেলনগুলোকে বাড়িয়ে দেয়, এরপর মুখের সামনের ঠোঁটের সাহায্যে শিকারের ঘাড়টি ভেঙে ফেলে এবং ফলে শিকারটি (ইঁদুরটি) মারা যায়। পেঁচার শিকার ধরার সফলতার আর একটি বিশেষ দিক হলো তাদের পাখা গঠন। এদের পাখার পালকগুলো প্রসারিত ও গোলাকার হওয়ায়, এরা কম পরিশ্রমে বেশি জায়গা (Area) নিয়ে এবং বেশি সময় ধরে নিঃশব্দে উড়তে পারে বিধায় এদের শিকার ধরা সহজ হয়।
পৃথিবীর সর্বত্রই Barn Owl বা পেঁচাজাতীয় প্রাণীকে বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থলে বিশেষ করে যেখানে ইঁদুরজাতীয় প্রাণীদের অবস্থান সেখানেই দেখতে পাওয়া যায়। তাই উন্মত এবং উন্নয়নশীল দেশের কৃষক মাঠ ফসলের ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের জন্য পেঁচাকে ব্যবহার করছে।
পেঁচার বসবাসকে উৎসাহিত করার জন্য কৃষক জমিতে পেঁচার ঘর (Nest-box) এবং রাতে পেঁচা বসার জন্য টাওয়ারের ব্যবস্থা করছে এবং কাক্সিক্ষত মাত্রার সুফলও পাচ্ছে। এরই আলোকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগ মাঠ ফসলের ধান, ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য গবেষণা প্লটের সেচনালার ওপর দিয়ে ১৫ মিটার পরপর ১০-১২ ফিট উচ্চতায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের ব্যবস্থা করেছে। এতে রাতে পেঁচা বসে এবং খুঁটিকে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার (Watch Tower) হিসেবে ব্যবহার করে। শিকার ধরার আগে পেঁচা এর আগে গৃহীত বা ভক্ষণকৃত ইঁদুরটিকে পিলেট (Pellet) আকারে বমি (Regurgitated) করে। বমিকৃত পিলেট সংগ্রহ করে শুকিয়ে নিয়ে ০.৫ নরমাল naOH দ্রবণে ভিজালে ইঁদুরের চামড়া, হাড় এবং মাথার খুলি পৃথক হয় এবং খাওয়া ইঁদুর বা ইঁদুর প্রজাতির শনাক্তকরণ সম্ভব হয়।
পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে রাতে পেঁচা বসে মাঠের ইঁদুর নীরবে নিঃশব্দে ধরে খায়। এরা ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের ইঁদুর বেশি পছন্দ করে। কারণ পেঁচা আস্তঃপুরো ইঁদুরটি গিলে ফেলতে বেশি আগ্রহী, তবে শিকারকৃত ইঁদুরের আকার বা তার ওজন বেশি হলে এরা প্রথমে ইঁদুরের মাথা এবং পরে মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। তাই জৈব পদ্ধতির অংশ হিসেবে পেঁচা লালন-পালন বা প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে ইঁদুর ব্যবস্থাপনা করা যায়।
পেঁচার বিচরণ এলাকা
পেঁচার বিচরণ কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণত এরা যখন যেখানে বা যে এলাকায় থাকে সেখানকার নেস্ট বক্স (Nest box) ব্যবহার করে। এরা ডজন ডজন বা কলোনি করে গ্রুপে কোনো এলাকায় থাকতে পছন্দ করে। এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, ৪৮টি ঘবংঃ নড়ী এ বসবাসকারী পেঁচাগুলো ৮ সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ ইঁদুর বা ইঁদুরজাতীয় প্রাণী মারতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য বলা হয় যে, কোনো ফার্মে/এলাকায় একটি পেঁচা রাখার চেয়ে কলোনি আকারে সংরক্ষণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কারণ বড় এলাকা নিয়ে তখন এরা শিকার কার্যক্রম চালায়। শিকারের সন্ধানে এরা ৩-৪ কিমি. পর্যন্ত উড়তে পারে। এভাবে Barn Owl-এর একটি কলোনি কোনো এলাকার ইঁদুরের আক্রমণকে দারুণভাবে কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে কোনো এলাকায় হঠাৎ আবির্ভূত ইঁদুর বন্যাও প্রতিহত হয়। পাহাড়ি বাঁশের ইঁদুর বন্যায় ইধৎহ ঙষি-এর কলোনির ব্যবহার সুফল আনতে পারে কিন্তু এরা আক্রান্ত এলাকার সব ইঁদুরকে দমন করতে পারে না। এভাবে পেঁচা সব ইঁদুর ধ্বংস না করে ভারসাম্য অবস্থায় ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত অনুপাতে সংরক্ষণ করে এবং প্রকৃতিতে ভারসাম্য বজায় রাখে।
পেঁচা ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা
পেঁচা ব্যবহারের মাধ্যমে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পেঁচার চাহনি এবং তার মুখাকৃতি দেখে মানুষ ভয় পায়। পেঁচার ডাককে শুভ বা অশুভ কোনো কিছুর পূর্বলক্ষণ যা মৃত্যু বা দুর্ভাগ্যের প্রতীক বলা হয়েছে। এদের নিঃশব্দে উড়া, অন্ধকারের মধ্যে সাদা মুখাকৃতি নিয়ে আবির্ভূত হওয়া এবং ভয় দেখানোর মতো আতঙ্কজনক শব্দ করাÑ বিশ^ব্যাপী অশুভ ঐশ^রীয় শক্তির উৎস বলে আখ্যায়িত। সে কারণে পার্চিং (Perching) এবং নেস্ট বক্স (Nest box) স্থাপনের মাধ্যমে মাঠে পেঁচা বসার-থাকার সুযোগ সৃষ্টি করে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্থানীয় কৃষক অত্যন্ত নেতিবাচক মনে করছে। কারণ তাদের কাছে পেঁচা হলো শয়তানের দাসী বা ডাইনি, যা মানুষের দুর্ভাগ্য আনায়নকারী এবং বাচ্চাদের অসুস্থতাকারী বা রোগ সৃষ্টিকারী। মানুষের তথা কৃষক এসব ধারণা দূরীকরণের জন্য কৃষককে প্রত্যক্ষভাবে পেঁচা ব্যবহারের মাধ্যমে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জড়িত করা প্রয়োজন। এজন্য কৃষককে পেঁচা ব্যবহারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং পেঁচার জীবন-বৃত্তান্ত এবং তার পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার তথ্যাদি লিফলেট, বুকলেট বা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জ্ঞাত করা প্রয়োজন। যাতে কৃষক বুঝতে পারেন যে, পেঁচার তুলনায় ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি।
এ কথাটি স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, পেঁচার খাদ্যাভাসে বা খাদ্য-শিকলে ইঁদুরের দেহাবশেষ সর্বোচ্চ, শতকরা প্রায় ৯৪ ভাগ। রাতে ইঁদুর ও পেঁচা দুটিই সক্রিয় হয় এবং পেঁচা ইঁদুরের আবাসস্থল খুঁজে শিকার করে। তাই এর শিকার-সফলতা অনান্য প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি। মাঠের ইঁদুর ব্যবস্থাপনায় পেঁচা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে মাঠ ফসলের ইঁদুর ব্যবস্থাপনা হবে দূষণমুক্ত ও পরিবেশসম্মত, সাশ্রয়ী হবে কৃষি উৎপাদন এবং রক্ষা পাবে বিপুল অর্থসম্পদ।
ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন*, ড. শেখ শামিউল হক** মীর মনিরুজ্জামান কবীর***
*প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বিআরআরআই, গাজীপুর- ১৭০১; **প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বিআরআরআই, গাজীপুর- ১৭০১; ***বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বিআরআরআই, গাজীপুর।