কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে সবজি চাষ। আবাদি জমিতে সবজি চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। এবছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে কিশোরগঞ্জে। এতে উৎপাদন হবে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিকটন শাকসবজি।
সাধারণত শীতকালেই বেশি পরিমাণ জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়ে থাকে। তখন শাকসবজির ভ্যারাইটিও বেশি থাকে, ফলনও বেশি হয়। তবে এখন গ্রীষ্মকাল বা খরা মৌসুমেও প্রচুর শাকসবজির আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে পেঁপেঁ চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদলে গেছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, করিমগঞ্জ, হোসেনপুর এবং সদর উপজেলার মহিনন্দসহ কয়েকটি এলাকার বেশ খ্যাতি ছিল সবজি চাষের জন্য। গত কয়েক বছর ধরে সদর উপজেলার যশোদল, স্বল্প যশোদল এবং পূর্ব জিনারাই এলাকায়ও প্রচুর সবজি চাষ হচ্ছে।
বহু চাষী উঁচু জমি বা আমন ধানের জমিতে এখন শাকসবজির আবাদ করেও বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। যুবকরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে স্বল্প খরচে শাক-সবজি চাষ শুরু করেছেন। এতে তারা বেশ লাভবানও হচ্ছেন। সবজি চাষে যেমন তাদের হতাশা কাটছে অন্যদিকে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন তারা। ঘুরে গেছে তাদের ভাগ্যের চাকা।
চাষীরা জানান, এক সময় এসব জমিতে ধান বা অন্য কোন ফসল আবাদ হতো। কিন্তু তাতে এতটা লাভ হতো না। বরং ধান চাষে অনেক সময় খরচই উঠে আসে না। লাউ আবাদ করে খরচের তুলনায় লাভের মাত্রা অনেক বেশি। অনেকে জানান, সবজি চাষে তারা মোটামুটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পরামর্শ নেওয়ারও খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, সদরের চৌদ্দশত যশোদল এলাকার কয়েকটি পেপে বাগান পরিদর্শনে দেখেছি খুব ভাল ফলন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে চাষীরাও বেশ লাভবান হবেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একদিকে যেমন সবজি চাষে চাষীরা আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে অপর দিকে এ সব চাষীরা আরো সফলতা লাভ করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় চাষীদের।
কৃপ্র/ এম ইসলাম