কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির যোগ্যছোলা মাছ বাজারে ,উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জনাব যুথিকা সরকার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস, এম, শাহজাহান সিরাজের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকছড়ি উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক জনাব মিলন চাকমা।
ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মর্মে সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু বাজারে কোন ইলিশ পাওয়া যায় নাই। ইলিশ না পেলেও বাজারে গিয়ে একরকম চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রারানহা ও অফ্রিকার মাগুরের উপস্থিতি দেখে।
মোবাইল কোটের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রারানহা মাছ নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা দৌঁড়ে পলায়ন করে।ধৃত ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে নিষিদ্ধ ঘোষিত, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও রাক্ষুসে এই মাছগুলো তারা পার্শবর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইরহাট আড়ত থেকে কিনে আনেন। যেখানে অবাধে ও প্রকাশ্যে আড়তগুলোতে এই মাছগুলো বিক্রি করা হয়। এছাড়া মিরসরাই-এর বিভিন্ন স্থানে এই মাছের বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে সকালে বাজার বসার সময় কমপক্ষে ২-৩ মন প্ররানহা, এবং প্রায় ২ মন অফ্রিকান মাগুর বাজারে এসেছিল।এগুলো যে নিষিদ্ধ তারা এটুকুও জানেন না। এলাকাবাসী, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার, বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যরা জানান যে, দুগর্ম এলাকা ও বিদ্যুৎ না থাকায় এ এলাকার মানুষ এ মাছগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যপারে তথ্য পায় নাই।
পরে তাদেরকে মুচলেকার বিনিময়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মাছগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়।পরে বাজারের প্রায় ২ শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এই মাছদুটোর পরিবেশের প্রতি বিরুপ প্রভাব ও ক্ষতিকর দিক নিয়ে সবার সাথে মত বিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতে এ মাছগুলো বাজারে দেখা গেলে মৎস্য অফিসকে জানানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধৃত মাছগুলো স্থানীয় দুইটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় গরীব ছেলে-মেয়েদের জন্য দান করা হয়।
সুত্রঃ কৃপ্র/ এম ইসলাম