কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ উদীচীর ঢাকা মহানগর সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের মূল উপাদান অসাম্প্রদায়িকতা আর সাম্যবাদ। গ্রাম বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কখনোই সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মের নামে হানাহানিকে প্রশ্রয় দেয়নি।
তারা বলেন, যতোবারই ধর্মকে পুঁজি করে কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে ততোবারই তারা রুখে দাঁড়িয়েছে। আজ শিল্পকলা একাডেমীতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘আঘাত হয়ে দেখা দিলে আগুন হয়ে জ্বলবে, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বিশ্বমানব লড়বে’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উদীচী’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ইদু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ কাজী মদিনা, উদীচী’র উপদেষ্টা আকতার হুসেন, বরেণ্য লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতী, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর-এর সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. লেলিন চৌধুরী, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন।
উদীচী নেতুবৃন্দ বলেন, এদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ভাবধারার ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার যে ষড়যন্ত্র বহু দিন ধরে চলছে, সবাইকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তা রুখতে হবে। বাংলাদেশকে কখনোই আঁধার পথে চলতে দেয়া যায় না। হাজার বছর ধরে চর্চিত বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
তারা বলেন, অন্ধকারের অপশক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের লালনভূমি এই বাংলা নয়, কখনোই হবে না।
উদ্বোধনীতে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন উদীচী ঢাকা মহানগরের শিল্পীরা। উদ্বোধনের পর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আলোচনা সভা। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ-এর সভাপতিত্বে এ পর্বের শুরুতে গোলাম মোহাম্মদ ইদুকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম