কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ‘মোর আর কিছুই থাকিল না বাবা, ইহার থাকি মোর মরণ ভাল’— এভাবেই তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে বিলাপ করছিলেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বারঘড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মজিবর রহমান (৬৫)। অবশেষে ঠাঁই হলো তিস্তা নদীর পাশে অন্যের জমিতে।
শুধু মজিবরই নয়, এরকম আহাজারি একই গ্রামের আছিনুর, আনছার আলী ও রুহুল আমীনসহ অনেকের। এদের সবার বসতভিটা হঠাত্ করে গত দু’দিনে তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হঠাত্ করে তিস্তা নদীর একটি ক্যানেল বের হয়ে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া তিন নং ওয়ার্ড ও একই গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে আঘাত হানে।
এ সময় ক্যানেলটির প্রবল স্রোতে চারটি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে দুই একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আরো হুমকির মুখে রয়েছে কয়েক একর ফসলি জমি। আবার অনেকেই এসব জমির ধান কেটে গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ করা না গেলে এ গ্রামের লোকজন নিঃস্ব হয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার লোকজন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দাবি, আমরা ত্রাণ চাই না, অনতিবিলম্বে ভাঙন রোধে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।