কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে পূর্ব সোহাগদল, গনমান, দক্ষিণ কৌরিখাড়া, উত্তর কৌরিখাড়া, শান্তিহার, কুনিয়ারী, ব্যাসকাঠি, জলাবাড়ী প্রভৃতি গ্রামের চিত্র। ভাঙন কবলিত এসব গ্রামের অনেক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গত দু’দিনে উপজেলার গনমান গ্রামে সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙনে মো. মজিবুর রহমান, মো. আবুল কালাম, মো. আসলাম হোসেন ও মো. কবির মিয়ার বসতঘরসহ প্রায় ১০ একর বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর কয়েকদিন আগে একই গ্রামের মো. মিজানুর রহমান, মো.ফজলুল হক, মো. আলমগীর হোসেন ও মো. সোহেল মিয়ার বসতঘরসহ ভিটেবাড়ি সন্ধ্যার অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে।
বছর খানেক আগে সন্ধ্যা কেড়ে নিয়েছে ওই এলাকার পল্লী সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ, ১০টি বসতঘর, ফসলি জমিসহ বাগানবাড়ি। সন্ধ্যার করাল গ্রাসে দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে গনমান গ্রামটি। সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ.কৌরিখাড়া, উ.কৌরিখাড়া, কুনিয়ারী, শান্তিহার, জলাবাড়িসহ পাল্টে যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রামের মানচিত্র। ১৯৮৮ সালে নদী ভাঙন শুরু হয়ে আজও অব্যাহত রয়েছে। বিগত কয়েক বছর যাবত্ দফায় দফায় ভাঙনের ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ায় পরাশ্রয়ে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে। পৈতৃক ভিটা মাটি হারিয়ে আজ তারা নিঃস্ব অসহায় ও সম্বলহীন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম