কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে বা পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হলেও এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারীর সতী নদীতে বেড়া দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য আহরণ। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের এ বিষয়ে নেই কোনো তত্পরতা। আর দিনের পর দিন তাদের তত্পরতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে বিভিন্ন জাতের দেশি প্রজাতির মাছ। এলাকাবাসী এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সরেজমিন উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কালীস্থান ও বামনের বাসা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, সতী নদীতে বানা আর বেড়িগেট দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য আহরণ। শুধু তাই নয়, এখানে নদীতে বানা দিয়ে চলছে মাছ শিকারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা। আর এভাবে মাছ শিকার করার কারণে কোনো ধরনের মাছ বের হয়ে আসতে পারছে না। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। অথচ উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় মৎস্যজীবীরা পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন। আবার এ নদী থেকে চলছে মেশিনের সাহায্যে অবাধে বালু উত্তোলন।
কালীস্থান এলাকার আব্দুর রহমান, শচিন চন্দ্রসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সেতু নদীতে বেড়িগেট দিয়ে মাছ শিকার করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। দীর্ঘদিন যাবত্ একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ ধরনের কাজ করে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার। তারা এও জানান, কেউ এর প্রতিবাদ করলেই তার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল বলেন, নদীতে বানা দিয়ে এভাবে মাছ শিকার করার কোনো নিয়ম নেই শুনেছি, তবে এ বিষয়টি সম্পর্কে তাকে কেউ অবগত করেননি। উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারাজুল কবির বলেন, মৎস্য সংরক্ষণ আইনে নদীতে বানা বা বেড়িগেট দিয়ে মাছ শিকার করা আইনত দণ্ডনীয়। ইউএন’র সাথে পরামর্শ করে এসব বানা উত্তোলন করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম