কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রায় পাঁচ বছর অচল রয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ। দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়কারী একমাত্র যন্ত্রটি অচল থাকায় জানা যাচ্ছে না এ অঞ্চলের ভূমিকম্পের মাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সম্পাদিত একটি চুক্তির আওতায় দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দুটি জেলা শহরে স্থায়ীভাবে এ সিসমোগ্রাফ মেশিন স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ঢাবির ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
চুক্তির আওতায় অনুদান হিসেবে পাওয়া একটি সিসমোগ্রাফ মেশিন ২০০৩ সালে প্রথম ঢাবি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং কাপ্তাইয়ে স্থাপন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে মেশিনটি স্থাপিত হওয়ার পর দুটি ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কিন্তু ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মেশিনটিতে সমস্যা দেখা দিলে একাডেমিক ভবনে আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারের সঙ্গে ইন্টারনেটের পূর্ণাঙ্গ সংযোগসহ ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্রটি চালু করা হয়। কিন্তু চালুর এক বছর না যেতেই আবার নষ্ট হয়ে যায়।
সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটির অপারেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা পবিপ্রবির সিএসই অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মো. মুনীবুর রহমান জানান, সিসমোগ্রাফটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রজেক্টের আওতায় হওয়ায় তারাই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, যন্ত্রটি পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের যেখানে স্থাপন করা হয়েছে ওই স্থানটি খুবই নয়েজি এবং পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা থাকায় এটি অচল হয়ে আছে। এ সময় তিনি আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে পবিপ্রবিতে এসে যন্ত্রটি আবার সচল করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম