কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমাদের দেশে আলু, ভুট্রা, মরিচ, সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল বীজ-ফারো বা বেড-নালা তৈরি করে আবাদ করা হয়। বেড পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করলে বাতাস সহজেই গাছের শিকড়ের নিকট যেতে পারে। ফলে গাছ বাতাস থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে পারে। বেড পদ্ধতিতে নালায় পানি সেচ দিলে সহজেই অল্প সময়ে অনেক জমিতে পানি সেচ দেওয়া যায়। এতে পানির পরিমাণ ও প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় কম লাগে। এই পদ্ধতিতে শুকনা বা রবি মৌসুমে পানি যেমন কম লাগে তেমনি বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে নালা দিয়ে সহজেই পানি বের হয়ে যায়।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ-
১। বেডে ফসল ফলালে উৎপাদন খরচ কমে, মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে ও দুষণমুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।
২। এ যন্ত্রের দ্বারা ১-২টি চাষে বেড তৈরি, সার প্রয়োগ ও বীজ বপনের কাজ একই সঙ্গে করা যায়।
৩। বেড প্লান্টার দ্বারা গম, ভুট্রা, আলু, মুগ, তিলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বীজ সফলভাবে বপন করা সম্ভব।
৪। স্থায়ী বেডেও বীজ বপন করা যায়।
৫। বেডে ফসলের অবশিষ্টাংশ রেখেই বিনা চাষে বীজ বপন করা যায়।
৬। স্থায়ী বেডে কেঁচো বাস করে বিধায় জমির উর্বরতা বাড়ে।
৭। স্থায়ী বেডে কয়েক বছর চাষ করলে জমিতে জৈব সারের পরিমাণ বাড়ে।
৮। বেডে ফসল করলে ইঁদুরের উৎপাত কমে।
৯। বেডে ফসল করলে সেচ খরচ ও সময় ২৫% কমে।
১০। যন্ত্রটি প্রতি ঘন্টায় ০.১১ হেক্টর জমিতে বেড তৈরি করতে পারে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম