কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ হাস্নাহেনা আমাদের দেশে অতিপরিচিত ফুলের নাম। আদিনিবাস দ্বীপ রাষ্ট্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এ ফুলগাছ দেখা যায়। হাস্নাহেনা ঝোপালো আকৃতির দ্রুতবর্ধনশীল ফুলগাছ। গাছের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত, ছাঁটাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছের আকার-আকৃতি ছোট-বড় করে রাখা যায়। পাতা গাঢ় সবুজ রঙের, মধ্যশিরা স্পষ্ট এবং কচি শাখা-প্রশাখার বাকলের রংও সবুজ হয়ে থাকে। শাখা-প্রশাখা খুব বেশি শক্তমানের নয়।
গাছের প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে গুচ্ছভাবে একত্রে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরে। ফুলের গঠন নলাকৃতির, চিকন, লম্বা এবং ফুলের প্রস্ফুটিত অংশ পাঁচটি ভাগে বিভক্ত ও দেখতে তারকার মতো দেখায়। রং সাদা থেকে ঘিয়ে রঙের হয়ে থাকে। রাতের বেলা এর ফুল ফোটে এবং ফুলের সুভাস চারদিক মোহনীয় করে তোলে এবং দূর থেকেও তা অনুভব করা যায়।তীব্র সুগন্ধীর কারণে হাস্নাহেনা ফুলের কদরও একটু বেশি। শীত ঋতু ছাড়া প্রায় সারাবছর গাছে ফুল ফোটে। তবে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরতে গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ফোটে। প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুলগাছ জন্মে, হালকা ছায়া ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না।
গাছ বেশ কষ্টসহিষ্ণু এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। বাসা-বাড়ি, অফিস, আদালত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে হাস্নাহেনা ফুলগাছ দেখা যায়। তা ছাড়া হাস্নাহেনা ফুলগাছ বাগানের জীবন্ত বেড়া হিসেবেও বাগানের কিনারায় রোপণ উপযোগী ফুলগাছ। ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয় এবং দ্রুতবর্ধনশীল বিদায় কাটিং রোপণের অল্পদিনের মধ্যে গাছে ফুল ধরে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম