কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা একটি অভিন্ন ও বৈশ্বিক ইস্যু। এটা উত্তর-দক্ষিণের বা কোন আঞ্চলিক সমস্যা নয়। এ সমস্যার জন্য এককভাবে কাউকে দায়ি না করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সবাই মিলে এর সমাধান করতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিজ বা কপ-২২ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন : বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর পক্ষে নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, ইক্যুইটি এন্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ-বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), অক্সফামসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট-এর পরিচালক জিয়াউল হক, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বিসিজেএফ এর সভাপতি সাংবাদিক কাওসার রহমান, ওয়াকার্স পার্টির নগর নেতা আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন নিলোর্মী প্রমুখ।
পরিবেশ ও জলবায়ু দূষণকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশেগুলোর মধ্যে বিভক্তি করা উচিত হবে না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। পরিবেশ মন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রের সকল পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আসন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাই মিলে বিশ্ব পরিবেশ সমম্মেলনে নেগোসিয়েশনের জন্য আলোচনার মাধ্যমে কৌশল গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, কনফারেন্স অব দি পার্টিজ বা কপ-২২ সম্মেলনে যতটুকু একমত হয়ে আমাদের (ক্ষতিগ্রস্ত) পক্ষে সর্বোচ্চ সুবিধা আনা যায়, সেবিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে আমরা যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করবো। সরকার সরকারের অবস্থান থেকে কথা বলবে। সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কথা বলবে।
সেমিনারে বক্তারা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- ইউএনএফসিসিসি-এর সকল পার্টির ‘প্রশমন উচ্চাকাংখা’ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশের দিক থেকে নজরদারি বজায় রাখতে হবে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম