কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের শতাধিক কৃষক হাইব্রিড মরিচের চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাদের উৎপাদিত মরিচ তালতলী ও আমতলী উপজেলার বাজারগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, তুলনামূলক উঁচু জাগায় তারা এ মরিচের চারা রোপন করেন। দেশীয় জাতের মরিচের তুলনায় এখন তারা তিনগুন বেশী ফলন পেয়েছেন। তালতলী উপজেলার ছোবাহান পাড়ার কৃষক মিলন মিয়া জানান, এই প্রথম পুকুর পাড়ে ১৫ শাতাংশ জমিতে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ৭০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। আগামি বছর আরো বেশী জায়গায় চাষ করবেন তিনি।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার মোয়া পাড়া, নামিসি পাড়া, ছোবাহান পাড়া গ্রামের শতাধিক প্রান্তিক চাষী গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করে জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করেছেন। তাদের দেখাদেখি ওই এলাকার চাষীরা মরিচ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, ছত্রাকজনিত রোগে তাদের মরিচে গাছগুলো আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষি দপ্তরের সহায়তা পাচ্ছেন না তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, এ ইউনিয়নে কোন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নেই। স্থায়ীভাবে এখানে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেয়া হলে স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হতেন।
আমতলী ও তালতলী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এসএম বদরুল আলম জানান, ২ উপজেলার কৃষি বিভাগের লোকবল কম থাকায় অনেক ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। সে কারণে কৃষকের দ্বারে দ্বারে যেতে সমস্যা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই এর সমাধান হবে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম