কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ২০ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২০ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায়ও এ খাতের রপ্তানি আয় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২০ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। এই সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে পাটের সুতো ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে পাটের সুতো ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ১১ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে ১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম