কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম: উত্তরের জনপদে মরা কার্তিক এখন ভরা কার্তিকে পরিণত হয়েছে। চিরায়তভাবে এ দেশে পৌষে নবান্ন উৎসব হলেও বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় আমনে স্বল্পমেয়াদি জাতের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে কার্তিক মাসেই কৃষকের ঘরে উঠছে সোনালি ধান। সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে সোনালি ধানের সমারোহে কৃষকের ঘরে কার্তিক মাসেই শুরু হয়ে গেছে নবান্ন উৎসব।
স্বল্পমেয়াদি ধান চাষের ফলে সঠিক সময়ে গম, আলু বা সরিষা আবাদ করতে পারছেন কৃষকরা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে স্বল্পজীবনকাল সম্পন্ন বিনাধান-১৭ এর ওপর এক মাঠ দিবসে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় আদর্শ কৃষক মো. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স ম আশরাফ আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর জেলার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জিয়াউল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. খোরশেদ আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে নিত্য-নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এজন্য তিনি জলবায়ুর সহনশীল জাতগুলো চাষের প্রতি বেশি জোর দেয়ার আহ্বান জানান। উচ্চফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু বিনাধান-১৭ স্বল্পজীবনমেয়াদি হওয়ার এ ধান কেটে এ অঞ্চলের কৃষক ভাইয়েরা সহজেই গম-সরিষা বা আলু আবাদে যেতে পারবেন তিনি উল্লেখ করেন। বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ কৃষিবিদ মো. তানজিলুর রহমান ম-ল বলেন বিনাধান-১৭ উচ্চফলনশীল এবং জীবনকাল কম হওয়ায় শস্যেও নিবিড়তা বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর। অন্য জাতের তুলনায় এ জাত চাষে প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ কম সার ও সেচ লাগে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম