কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং কৃষিজমি হ্রাস পাওয়া স্বত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, খাদ্য রফতানির দেশে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষিখাতে সরকারি ভর্তুকি এবং সনাতন চাষাবাদের পরিবর্তে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও ব্যাপক গবেষণার জন্য এ খাতে এ ধরনের সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কৃষক লীগের উদ্যোগে ‘কৃষক বাঁচাও- দেশ বাঁচাও’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু ও উম্মে কুলসুম এমপি।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কৃষকরা মায়ের কোলে থাকবে। কোন অপশক্তিই দেশের কৃষি ও কৃষকের অগ্রগতি রোধ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় আসে প্রথমেই তারা তাদের বন্দুকের নল কৃষকের দিকে তাঁক করে। সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাবীতে আন্দোলনরত কৃষকদের পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে কোন বিপ্লব হয়নি। দেশের মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্খা এবং আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির যোগশাজসে পাল্টা অভ্যূত্থান হয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে ৭ নভেম্বরকে কোন বিপ্লব দিবস হিসেবে পালন করতে দেয়া হবে না।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষ যখন আশাবাদী হয়েছে তখন বিএনপি-জামায়াত হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের কোন ইস্যু না পেয়ে নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন নিয়ে মাঠ গরম করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দেশের রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে তা পুনঃগঠন করবেন। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে তারা কখনো বিএনপির মতো ‘আজিজ মার্কা’ কমিশন গঠনের সাথে যুক্ত হবে না। তিনি ইসি পুনঃগঠন নিয়ে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত না করার জন্য বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম