‘ঢাকা বাঁচুক সবুজে, আমরা বাঁচবো ঢাকাতে’
মেয়র বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলছি— প্রতি তিন মাসে ঢাকা বদলে যাচ্ছে। রাস্তার উপর ৬৩টি স্থান, যেখানে প্রতিদিন দুই থেকে চার টন বর্জ্য স্তূপাকারে জমা করে রাখা হত। ৪০টির বেশি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ করায় বর্তমানে ঢাকা অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বভাব হলো দখল করা। শহরের অভিজাত এলাকার ফুটপাত যা ২২ বছর পর্যন্ত অবৈধ দখলে ছিল, তা আমি দখলমুক্ত করেছি। ফলে ছয় ফুট চওড়া ফুটপাত এখন ১৪ ফুট চওড়া হয়েছে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখন আর দোকানের বাইরে এক ইঞ্চি জায়গাতেও দোকানের মালামাল রাখছেন না। তবে এ অবস্থার স্থায়ীত্বের জন্য মানুষের চিন্তাধারায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।
‘সবুজ ঢাকা’ কার্যক্রমের উপদেষ্টা প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান, কৃষি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো. তারিক হাসান, উত্তর সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান, কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মো. মফিজুর রহমান, এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর কৃষিবিদ বশির আহমেদ প্রমুখ।
‘ঢাকা বাঁচুক সবুজে, আমরা বাঁচবো ঢাকাতে’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সবুজ ঢাকা গড়তে দুই বছর ধরে ‘সবুজ ঢাকা’ কার্যক্রম চালাচ্ছে উত্তর সিটি। ইতোমধ্যে ৪০টি স্কুল, ১০৮টি মসজিদ ও ৫০০টি বাড়ির ছাদে বাগান করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তর সিটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ সহায়তায় ৩৬টি ওয়ার্ডে ১৯ হাজার টবসহ গাছ বিতরণ করা হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম