কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রাণিসম্পদের বর্তমান সমস্যা নিরসনে এ খাতে আরো গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবনগুলো গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী ‘‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০১৬ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর’’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
মন্ত্রী আরো বলেন পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে, এ লক্ষ্য অর্জনে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। সরকারের ভিশন-২০২১কে সামনে রেখে গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনদিনের এই কর্মশালার আলোকে যে, সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে সেগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার এর সভাপতিত্বে তিন দিন ব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আবুল কালাম আযাদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন দেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্ত:ইনস্টিটিউট গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয় থাকা একান্ত জরুরী। এ ক্ষেত্রে বিএআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে বিএলআরআই এর স্বল্প সংখ্যক বিজ্ঞানীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. তালুকদার নূরুন্নাহার বলেন, লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নতুন নতুন গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরী ও প্রয়োজনীয়। তিনদিন ব্যাপী কর্মশালায় আমরা ৫৪টি গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে ৩৮টি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ১৬টি পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে এবং ৬টি প্রযুক্তি খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী কর্মশালায় দেশের পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে অংশ গ্রহণকারিদের পরামর্শে গবেষণা কার্যক্রম আরো ফলপ্রসু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সুত্রঃ http://agrilife24.com/