কৃষি প্রতিক্ষণ ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি আশা করেন, ‘সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ভূমিকা রাখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। আজ ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন’ ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও ‘আশ্রয়ণ’সহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সহায়-সম্পদহীন মানুষের আবাসন ও র্কসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার যুগোপযোগী সমবায় সমিতি আইন প্রণয়ন করেছে। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমবায় বাজার স্থাপন ও কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সমবায়ভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়নে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে দেশে সমবায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। আমরা ৭ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আবদান তুলে ধরে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে সমবায় পদ্ধতির সম্প্রসারণকল্পে থানা পর্যায়ে পল্লি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন।
জাতির পিতা দেশের দুগ্ধ চাহিদা পূরণের জন্য সমবায়ের ভিত্তিতে দুগ্ধ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের লক্ষ্যে মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল সমবায়ীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।