কৃষি প্রতিক্ষণ ঢাকাঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। একক প্রচেষ্টায় যা করা অসম্ভব, সমবায় পদ্ধতিতে তা সহজেই করা সম্ভব। প্রাচীনকাল থেকেই সমবায় বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়নের এ কৌশল বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে সফলভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি ৪৫তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। আগামীকাল শনিবার দেশে সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তিনি বিশ্বাস করতেন তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা তখনই সম্ভব যখন উৎপাদন যন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হবে জনগণ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ১৩নং অনুচ্ছেদে সমবায়ীসহ মালিকানা ব্যবস্থার কাঠামো সন্নিবেশিত করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক সূচকগুলোতেও বাংলাদেশের সাফল্য অন্য যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুসরণীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমবায় জনগণের সংগঠন। বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রসার ও প্রযুক্তির বিপ্লব আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে নবতর সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নতুুন উদ্যোগে আধুনিক প্রজন্মের সমবায় সমিতি গঠন করার উপর গুরুত্বারোপ করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সমবায় যাতে অন্যতম হাতিয়ার হয় বলে সে প্রত্যাশা করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশবাসী এবং সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম