কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সেচ সংকট এবং পুষ্টির চাহিদা মোকাবেলার পাশাপাশি বরেন্দ্র অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি গবেষক ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা চাষিদের আরো বেশি জমিতে জিংক সমৃদ্ধ বারি ধান- ৭১ ও ৭২ চাষের আহ্বান জানিয়েছেন। বারি ধান-৭১ সম্পর্কে তারা বলেন, এই জাতটি স্বল্প সময়ে ফলনশীল এবং খরা সহিষ্ণু জাতের ধান। আর বারি ধান-৭২ একটি জিংক সমৃদ্ধ ধান এবং স্বল্প সময়ে ফলনশীল ও খরা সহিষ্ণু জাতের ধান। এই দুটি জাতের ধানই বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য খুব উপযোগী।
তারা প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিদের বলেন, নতুন উদ্ভাবিত ধানের চাষের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, জিংক চাহিদা লাঘব এবং পুষ্টির অভাব পূরণের পাশাপাশি ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের কারণে শিশু মৃত্যু রোধে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। শুক্রবার তানোর উপজেলার দুবাইল এলাকায় এই দুই জাতের ধান কাটা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় এক আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-ও মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, বিতরণ ও চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পকল্পের পরিচালক এটিএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএর-ও চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাইস রিসার্স ইনিস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রধান ড. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সহকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম এবং সহকারি প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ও নাজমুল হক বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে বারি ধান-৭২ সম্পর্কে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই জাতটি জিংক সমৃদ্ধ জাত হিসেবে খুব আলোচিত। বারি ধান-৭২ জাতটি মানব দেহের মিনারেল চাহিদা এবং খাদ্য নিরাপত্তা দুই দিক বিবেচনায় রেখে উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রতি কেজি বারি ধান-৬২ এ ১৯ মিলিগ্রাম জিংক এবং ৯ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে, যা উচ্চ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জিংক লিভারের রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নীচে ৪০ শতাংশ শিশুদের মাঝে আংশিক এবং একই বয়সের ৪৪ শতাংশ শিশু জিংক ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বল্প সময়ে ফলন বৈশিষ্ট্য হওয়ায় বোরো চাষের আগে বিভিন্ন রবি শস্য যেমন- টমেটো, বেগুন, সরিষা বা সবজি চাষে অনেক উপকারি এবং বোরো ধান চাষের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করাও সম্ভব।
কৃপ্র/ এম ইসলাম