কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী আম চাষে বিদ্যমান সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শুক্রবার এখানে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা আম চাষীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার আহ্বান জানান। তারা আমের উৎপাদন ও বিপণনে সময়োপযোগী নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে পরিকল্পনাবিদ, উৎপাদক, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তাদের সম্মেলন কক্ষে আম চাষীদের মধ্যে সমবায় সমিতি গঠনের উপায় নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে রাজশাহী কৃষি খাদ্য মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আখতার জাহান এমপি ও বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আবদুর রাশিদ।
বক্তব্য রাখেন বিএমডিএ’র সচিব মো. মোনোয়ারুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক (বীজ উৎপাদন) এটিএম রফিকুল ইসলাম ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দীন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আখতার জাহান বলেন, আম চাষ পদ্ধতি, নিরাপদ বিপণন প্রক্রিয়া ও স্বাস্থ্যসম্মত করার জন্য আম চাষীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি কীট পতঙ্গের আক্রমণ থেকে আম রক্ষা করে সেইসঙ্গে কৃষকদের ভাল ফলন সুবিধা পেতে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম বাগানে আধুনিক প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই দুই জেলা আম প্রধান মৌসুমি অর্থকরী ফসল। এই অঞ্চলের ৩২ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জতের ও সাইজের ৩০ লাখ আমগাছ রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বসতবাড়িতে আম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে ও আরো অনেক নতুন আম বাগান গড়ে উঠেছে।
ড. আকরাম চৌধুরী বলেন, আম এই অঞ্চলে একমাত্র বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ফলজ ফসল। কিন্তু এই ফসল পতঙ্গ ও রোগ আক্রমণ প্রবণ। এই ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার, উৎপাদক ও বিক্রেতাদের ভয়ভীতি সরিয়ে উচ্চ আশার সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই অঞ্চল থেকে আম রফতানির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম