কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সমুদ্রে শুরু হচ্ছে মৎস্য জরিপের কাজ। জরিপ কাজ পরিচালনার জন্য কেনা হয়েছে জরিপ জাহাজ `আর ভি মীন সন্ধানী’। ৬৫ কোটি টাকায় কেনা এ জরিপ জাহাজটি আগামী ১৯ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা জাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জরিপ কাজ শুরু করবে জাহাজটি। জানা যাবে দেশের সমুদ্রসীমায় কি পরিমান এবং কোন কোন প্রজাতির মাছ রয়েছে।
এ প্রসেঙ্গ সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ দপ্তরের পরিচালক নাসিরুদ্দিন মো. হুমায়ূন বলেন, জরিপ জাহাজের সাহায্যে সমুদ্রের পরিমাপ, সামুদ্রিক মাছ নিয়ে গবেষণা, মাছের টেকসই আহরণ কৌশল নির্ধারণ, কোন জায়গা কী রকম মাছ বিচরণ করে ও সমুদ্রের কোন অংশে কোন প্রকারের ট্রলার যাবে তা নির্ধারণসহ মৎস্য নিয়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
সমুদ্র থেকে আহরণযোগ্য মাছ নিয়ে সর্বশেষ জরিপ হয়েছিল ১৯৮৪-৮৬ সালে। ‘আরভি মীন সন্ধানী’ জরিপ কাজ শুরু করলে ত্রিশ বছর পর আবারো জরিপ কাজ শুরু হবে। ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কারিগরি সহায়তায় এবং দেশীয় সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞানীদের সম্পৃক্ততায় ‘আরভি অনুসন্ধানী’ জাহাজ দ্বারা এ জরিপ করা হয়েছিল। জরিপে সমুদ্র তলদেশীয় মাছের মজুদ ১০-১০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিকটন, ১০-২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন এবং সহনশীল পর্যায়ে আহরণযোগ্য মাছের পরিমাণ ৪৭ হাজার ৫শ’ থেকে ৮৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন উল্লেখ করা হয়েছিল।
১৯৭৩ সালে মৎস্য বিজ্ঞানী ওয়েস্ট বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তলদেশীয় মাছের মজুদ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮-৭৯ সালে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ জরিপ কাজ করেছিল। পৃথক তিনটি জরিপের গড় ফলাফলের ভিত্তিতে তলদেশীয় মাছের মজুদ ১ লক্ষ ৫৬ হাজার মে.টন প্রাক্কলনকে ব্যাঞ্চমার্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর প্রেক্ষিতে সহনশীল আহরণ পর্যায়ে ৪৭ হাজার থেকে ৭১ হাজার মে.টন বলা হচ্ছে।
‘আরভি মীন সন্ধানী’ : ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ও মালয়েশিয়ার যৌথ অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ক্রয় করা হয়েছে জরিপ জাহাজটি। এ জাহাজের দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৮০ মিটার। এ জাহাজে কাজ করতে পারেন ২৮ জন ক্রু ও গবেষক। মূল ইঞ্জিনের ক্ষমতা ১৪০০ হর্স পাওয়ার, ১৮০০ আরএমপি।
কৃপ্র/ এম ইসলাম