কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে ধান কাটা উৎসব চলছে। এর মধ্য দিয়ে মুছে যাচ্ছে গত মৌসুমে আমন চাষে লোকসানের দুঃখ। এবারের বাম্পার ফলনে কৃষকের ঘরে ঘরে বিরাজ করছে সুখানন্দ। যদিও তাদের মধ্যে রয়েছে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা। সরেজমিনে দেখা গেছে, গুমাই বিলে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গৃহস্থ, দিনমজুর কৃষাণ-কৃষাণীরা।
বিলজুড়েই কৃষকের ধান কাটার দৃশ্য। কৃষক-মজুররা মাথা কিংবা কাঁধ বোঝাই করে বাড়ি ফিরছেন কাটা ধানের আঁটি নিয়ে। ধান কাটতে গিয়ে কিংবা কাটা ধান আনতে গিয়ে অনেকে গলা ছেড়ে গাইছেন গান। হাসি-ঠাট্টা-সুখ-দুঃখের কথায় মেতে থাকছেন তারা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আকতার জানান, এবার অনুকূল পরিবেশ থাকায় গুমাই বিলের ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ১০ হাজার টন ধান উৎপাদন হবে। গত মৌসুমে বন্যা ও নানান প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে অর্ধেকের বেশি জমির ফলন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন।
এ মৌসুমে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল উপজেলা কৃষি অফিস। নানান উদ্যোগের কারণে আমন মৌসুমে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে আশঙ্কা প্রশ্নে আবুল খায়ের নামে এক কৃষক বলেন, ‘দিনমজুরের বেতন, বীজ, কীটনাশকসহ কানিপ্রতি জমিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ধান কাটার খরচসহ সব মিলিয়ে বাড়বে আরও ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পেলে বাম্পার ফলনের পরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
সুত্রঃ bd-pratidin.com/ কৃপ্র/ এম ইসলাম