কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় তিনটি গ্রামে হাইব্রিড মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। শতাধিক দরিদ্র কৃষক বর্ষা মৌসুমে উঁচু জায়গায় চারা রোপণ করে অধিক ফলন ফলায় আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন। একই জায়গা কৃষি ও মাছ চাষের উপযোগী করে বেশি ফলন ফলায় প্রতি বছর এ পেশায় ঝুঁকতে শুরু করছে স্থানীয় কৃষকরা। অন্যদিকে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের এ কাজে কোনো দেখভাল না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক।
উপকূলীয় অঞ্চল তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মোয়াপাড়া, নামিসিপাড়া, ছোবাহানপাড়া গ্রামে শতাধিক কৃষকের চাষের জমিতে তিন গুণ হারে হাইব্রিড মরিচ ফলনে খুশির জোয়ার বইছে। কৃষক মিলন, রাজ্জাক, সাগর চন্দ্র শিলা, আ. বারেক, খলিল, আলমগীর এক একজন কৃষক তার বাড়ির সামনে বিটায় বেট করে উঁচু জমিতে হাইব্রিড মরিচ চারা এবং নিচের অংশে মাছের পোনা ছেড়ে তিনগুণ বিক্রি করায় সেখানকার কৃষক এ পেশায় বেশি করে ঝুঁকে পড়তে শুরু করছে।
এ খুশি গ্রামের সবাই ভাগাভাগি করে নিলেও কৃষকের মাঝে ক্ষোভ বেরিয়ে আসছে অনেকের। লাখ লাখ টাকা সিজনে মরিচ চাষিরা আয় করলেও শেষে দিকে ছত্রাক রোগে বেশির ভাগ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পেঁৗছাতে পারেনি কৃষকরা। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা এসব দরিদ্র কৃষকের পাশে গিয়ে কোনো খোঁজখবর না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে অনেকেই।
ছোবাহানপাড়ার কৃষক মিলন জানান, আমি এই প্রথম পুকুরপাড়ে বিটায় ১৫ শতাংশ জায়গায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আরও বিক্রি করতে পারতাম; কিন্তু গাছ খারাপ হওয়ায় ফলন কমে গেছে। মোয়াপাড়ার হতদরিদ্র কৃষক রাজ্জাক হাওলাদার জানান, এই কৃষি কাজের আগে পরের বাড়ি খাটুনি দিয়েছি এবার মরিচের চাষ করে আমি অনেক টাকা আয় করে বাচ্চাদের লেখাপড়া করাতে পারছি। খুব ভালো লাগছে। এ ছাড়া মাছেও কিছু টাকা আসবে আসা করি। আগামী বছর আরও বেশি জায়গায় চাষ করার ইচ্ছা আছে। নামিশিপাড়ার মোশারেফ খান বলেন, ১২ শতাংশ জায়গায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
সুত্রঃ jaijaidinbd.com /কৃপ্র/ এম ইসলাম