কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রযুক্তির কল্যাণে নিত্যনতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। অন্যান্য খাতের মতো উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় মধু উৎপাদনের ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি মিলছে। মধু ও মোমের চাহিদা সর্বত্র বিরাজমান। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মূল গবেষণা চলছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিয়ারিতে।
প্রকল্পের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ও মৌ বিশেষজ্ঞ শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, মধুর গুণগত মান ও অধিক পরিমাণে উৎপাদনের জন্য এখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষণা চালানো হচ্ছে । প্রতি বছরে একটি সুপার মৌবাক্স হতে ৫২ থেকে ৫৩ কেজি মধু আহরণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছির পোলেন নামক এক ধরনের প্রোটিন আছে, যা নিয়মিত খেলে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। পোলেন, প্রপোলিস এ মূল্যবান উপাদানগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতিকূল পরিবেশে মধুর উৎপাদন যেন হ্রাস না পায় এবং রপ্তানিযোগ্য মধুর গুণগতমান যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারেও গবেষণা চলছে।
প্রপোলিস নিয়ে গবেষণারত শিক্ষার্থী সামছুল আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রপোলিস একটি ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ভালোমানের প্রসাধনী তৈরিতেও প্রপোলিস ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এখানেই প্রপোলিস নিয়ে উচ্চতর গবেষণা চলছে। প্রযুক্তি ও গবেষকদের নিরলস গবেষণার ফলে বাংলাদেশ আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সমপরিমাণ মধু উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
সুত্রঃ কৃপ্র/ এম ইসলাম