কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ হাজার ৪৮১ দরিদ্র পরিবার দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ঋণের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। আট উপজেলার ৭৬ ইউনিয়নের অধীনে ৬৮৯ গ্রাম উন্নয়ন সমিতির (ভিডিএস) সুবিধাভোগী সদস্য পরিবারকে আয়বর্ধক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে। পরিবারগুলো আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জনসহ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে ডিজিটালাইজড করতে সদ্য চালু হওয়া ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ তাদের ক্রমাগত উন্নয়নের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করছে।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) সূত্র জানায়, সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, তহবিল সংহতি, আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পর্যায়ে চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ দরিদ্রদের সহায়তা করতে এই প্রকল্প চালু করেছে।
হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর জেন্ডারপাড়ার ভিডিএসের সদস্য আমজাদ হোসেন (৭০) বাসসকে জানান, ২০১২ সালে সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার ছোট্ট হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। কিস্তির মাধ্যমে ঋণ শোধের পর ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন ও তার ব্যবসার কাজে লাগান। এখন তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার মালিক তিনি। সাত মাইলপাড়া ভিডিএস সদস্য জোনাব আলী (৫৫) বলেন, ২০১২ সালে ৭ হাজার টাকা এবং পরে ২০১৪ সালে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন এবং এক একর জমি ইজারা নেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবজিসহ বিভিন্ন শস্যের চাষ করে এক বছর দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ করি এবং আমার দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি।’
খালুয়াপাড়া ভিডিএস-এর সদস্য এমদাদুল হক (৪২) সমিতি থেকে ২০১২ সালে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার দোকানে বিনিয়োগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ২০১৪ সালে ২০ হাজার এবং চলতি বছর ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি। আমার বাড়ি পাকা করেছি। আমার দোকানে এখন তিনজন কর্মচারী কাজ করছে। এখন আমার সম্পদের মূল্য ১০ লাখ টাকা।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে উন্নত জীবিকা অর্জনের জন্য সুবিধাভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক আবদুস সবুর বলেন, ৬৮৯ ভিডিএসের আমানত ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং জেলার সদস্যদের মাঝে ৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম