‘কেউ বলছে হাঙ্গর, কেউ বলছে ‘পানিয়াল’ বা তিমি’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় গভীর সাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকারের সামুদ্রিক প্রাণি। কেউ বলছে হাঙ্গর, কেউ বলছে ‘পানিয়াল’ বা তিমি। তবে বিক্রির উদ্দেশ্যে উপকূলে নিয়ে এসে ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় পাথরঘাটা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের তীরে ফেলে রেখে গেছে জেলেরা। এ বিষয়ে খোজঁ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা। পিরোজপুরের ট্রলার মালিক নির্মল বাবুর এফবি মা জননী নামক ট্রলারে গভীর সাগরে মাছ ধরার সময় গতকাল মঙ্গলবার মাছটি ধরা পড়ে।
আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পাথরঘাটা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের তীরে বিশাল আকৃতির সামুদ্রিক প্রাণিটি পড়ে আছে। মোটা রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে মৃত প্রাণিটি। শিশু কিশোররা ওর পিঠে উঠে আনন্দ করছে। প্রাণিটি দেখতে আসা জেলেদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ‘পানিয়াল’। তবে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মুরাদ হোসেন প্রামাণিক বলেন, “ওটা তিমি মাছের একটি ভিন্ন প্রজাতি।” স্তন্যপায়ী তিমি মাছের মতো তার দেহের গঠন দেখা যায় বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন ফিতা দিয়ে মেপে দেখেছে প্রাণিটি দৈর্ঘ্যে সাড়ে ২৬ ফুট। বুকের দিক থেকে বেড় ১৬ ফুট। ওজন হবে আনুমানিক তিন টন বলে অভিজ্ঞ জেলেরা দাবি করেন। জানা গেছে, পিরোজপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী নির্মল বাবুর এফবি মা জননী নামের একটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরার সময় জালে পেঁচিয়ে আটকে যায়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে মাছটি পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়।
ট্রলার মালিক নির্মল কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর এফবি মা-জননী নামক ট্রলারে ধরা পড়লে জেলেরা বিক্রির উদ্দেশ্যে তা নিয়ে আসে। স্থানীয় কোনো মৎস্য ব্যবসায়ী কিনতে রাজি না হওয়ায় খালের তীরে ফেলে রাখা হয়েছে প্রাণিটি। পাথরঘাটা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ / কৃপ্র/ এম ইসলাম