কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কীর্তনখোলা নদী গ্রাস করতে শুরু করেছে বরিশাল মহানগরীকে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের কালিজিরা পয়েন্টে তীব্র ভাঙনে এক রাতেই ৭টি বাড়িঘরসহ বিশাল এলাকা বিলীন হয়েছে। ঐ এলাকায় গত তিনদিন ধরেই নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনদিনের ভাঙনে দক্ষিণ জাগুয়া এলাকার ফসলী জমি, বসতঘরসহ প্রায় তিন একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে খান বাড়ির মসজিদ, দক্ষিণ জাগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান, পাকা রাস্তাসহ বহু স্থাপনা। মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহতা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক হয়েছেন। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। গাছপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে- মঙ্গলবার রাতের ভাঙনে দক্ষিণ জাগুয়া এলাকার আঃ গাফফার মোল্লা, মান্নান মোল্লা, জব্বার, জলিল, হেলাল, সামছু ও রাজ্জাক মিয়ার বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আঃ গাফফার মোল্লা জানান, তীব্র ভাঙনে বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। স্থানটি নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডভুক্ত হওয়ায় সিটি করপোরেশনের মেয়রগণ বিভিন্ন সময় ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিনা বেগম জানান, ৭ বছর পূর্বে তত্কালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরন ঐ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিও লেটার দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙন প্রতিরোধের আশ্বাস দেয়া হলেও পরে বোর্ড কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সিটি মেয়র মো. আহসান হাবিব কামাল ‘ইত্তেফাক’কে জানান, গত বছর নদী ভাঙনের সময় ঐ এলাকা পরিদর্শন শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করা হলে তহবিল আসলেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার পরিদর্শনশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সাথে পুনরায় কথা বলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন গতকাল বুধবার জানান- পানি উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সংকট রয়েছে। আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ভাঙনের ভয়াবহতা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। বর্তমানে তহবিল না থাকায় দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছরই বর্ষার শেষে নদ-নদীতে পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এবারো ভাটার টানে নদীতে তীব্র সে াত দেখা দেয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম