কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বনভূমির পাহাড় কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। পাহাড় কাটা মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। ইট তৈরির মৌসুম শুরু হওয়ায় চলছে মাটি আহরণের প্রতিযোগিতা। আবার অনেকেই বসতবাড়ি তৈরির জন্য পাহাড় কেটে বনভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করছে।রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা বাগানের একটি বিশাল আকার পাহাড় কাটা হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বনকর্মীরা পাহাড় কাটার দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ করলেও মাটি কাটা ও পাচার বন্ধ হয়নি। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
বাগানের পাহাড়ের মালিক দাবিদার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান জানান, পাহাড়টি তাদের নিজস্ব ভোগদখলীয় জোত জমি। তাই ওই স্থানে বসতবাড়ি তৈরির জন্য মাটি সরানোর কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটার ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বনকর্মীরা অন্যায়ভাবে তার বিরুদ্ধে বন মামলা দায়ের করেছে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছর বেশ কয়েকটি অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করে নিষেধাজ্ঞা আনার কারণে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তিনি জানান, এবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে এসব অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকায় পাহাড় কাটার ব্যাপারে দোছরী বনবিট কর্মকর্তা গজ নবী জানান, ঘটনাস্থলে বনকর্মী পাঠিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উখিয়ার সহকারী বন সংরক্ষক সরওয়ার জানান, হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কাটার বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বন রেঞ্জ কর্মকর্তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবির জানান, জোত জমির পাহাড় হলেও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে। অন্যথায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম