কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্রের সবজির প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্র বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। তবে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বীজ উৎপাদনে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্রের তথ্য মতে, গবেষণা কেন্দ্রটিকে ১ জন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২ জন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ২ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দুটি পদই খালি পড়ে রয়েছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে একটি পদ শূন্য। এখানে সবচেয়ে বড় সঙ্কট শ্রমিকের। ২২ জন শ্রমিকের মধ্যে ১০ জনই পাহারা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম খোরশেদুজ্জামান জানান, এই ফার্মের ৮ হেক্টর জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য ৪০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। মাত্র ১২ জন শ্রমিক দিয়ে কাক্সিক্ষত বীজ উৎপাদন কঠিন। বাইর থেকে শ্রমিক নিয়ে কোন রকমে কাজ চালাতে হয়। এ খাতে বাজেটও কম। তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তারা ১২টি শস্যের ২১টি জাতের বীজ উৎপাদন করছেন। জাতের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য বীজ থেকে প্রজনন বীজ উৎপাদন করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য। নিজস্ব খামার ছাড়াও তারা সদর উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামে কৃষকের জমিতে নতুন জাতের সবজি বীজ উৎপাদন করছেন।
এবার শীত মৌসুমে ৪৭৩.৫০ কেজি ও গ্রীষ্ম মৌসুমে ২২৯ কেজি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে প্রধান কার্যালয়। গত বছর ১৩টি শস্যের ২২টি জাতের মোট ৮০০ কেজি বীজ উৎপন্ন হয় এখানে। শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুম মিলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯৪ কেজি। তবে বীজ উৎপাদন কোন ফসলে কম, কোন ফসলে বেশি হয়। নানা সমস্য থাকা সত্বেও বীজ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে কেন্দ্রটি। তবে কোন কোন বীজ উৎপাদন কম হয়েছে। এখানে বীজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায়, উৎপাদিত বীজ গাজিপুর উদ্যান তত্ব গবেষণা কেন্দ্রে পাঠাতে হয়। এটিও একটি বিড়ম্বনা।
উদ্যান তত্ব গবেষনা কেন্দ্রের অধীনে বাংলাদেশে মোট ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঠাকুরগাঁও একটি কেন্দ্র। বারির অধীনে রয়েছে ৭টি কেন্দ্র। যেমন কন্দাল (আলু জাতীয় ফসল) কেন্দ্র, তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, উদ্ভিদ কৌলি সম্পদ সংরক্ষণ গবেষণা কেন্দ্র্র, গম গবেষণা কেন্দ্র, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, ডাল গবেষনা কেন্দ্র ও উদ্যান তত্ব গবেষণা কেন্দ্র। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম খোরশেদুজ্জামান আরো জানান, সবজি বীজ উৎপাদন ছাড়াও তারা সীমিত বাজেটের মধ্যে কৃষকদের মানসম্মত বীজ উৎপাদন পদ্ধতি, কৃষকের মাঝে নতুন জাতসমুহ প্রদর্শন ও কৃষির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম