কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে রোপা আমনের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ইতিমধ্যে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, এবারের মৌসুমে চাষিরা লক্ষমাত্রা ১৪ লাখ টনের চেয়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টন বেশি রোপা আমন চাল উৎপাদন করেছে। চাষিরা রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং নীলফামারী জেলায় মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৫ লাখ ৪১ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান কাটা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৪ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হলে লক্ষমাত্রা ১৪ লাখ টনের বিপরীতে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টন চাল আহরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিএই সূত্র জানায়, চাষিরা এ বছর এই অঞ্চলে ২৯ হাজার ৬শ ৮৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান, ৫লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং ৩১ হাজার ৩শ ১৩ হেক্টর জমিতে দেশি জাতের রোপা আমন চাষ করেছে।
ডিএই এর উদ্যান পালন বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বলেন, উৎপদিত আমন থেকে হেক্টর প্রতি ৩ লাখ ৪৬ হাজার টন হাইব্রীড জাতের, ২ লাখ ৮৮ হাজার টন উচ্চ ফলনশীল এবং ১ লাখ ৭৪ হাজার টন স্থানীয় জাতের আমন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতিক বন্যায় ৫ হাজার ৫ শ ৪৮ হেক্টর জমির ৪৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ১৪ হাজার ৮ শ ৬৭ টন রোপা আমন এবং ৪ হাজার ৭০ হেক্টর জমির ২০ কোটি ১০ লাখ টাকার আমন বিজ বিনষ্ট হয়েছে। মেসবাউল জানান, নির্ধারীতর চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করায় এবং সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি উৎপাদন হয়েছে।
রোপা ধান চাষি কাঠিহাড়া গ্রামের ইসাক আলী এবং নাজিরদিগড় গ্রামের আরিফুল বাতুল জানান তারা রোপা আমন চাষ করে খুশি। ভারো ফলন হওয়ায় তারা প্রতি মণ ধান সাড়ে ৭ শ থেকে ৮ শ টাকায় বিক্রি করতে পারছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম