কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আসন্ন বোরো চাষের বীজতলা রোপণের জন্য ভেজাল ও নিম্নমানের ধান বীজ বিক্রি রোধে মাঠে নেমেছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। বীজ রোপণের শেষ সময় পর্যন্ত হলেও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সাধারণত বোরো চাষের জন্য বীজতলা রোপণ করা হয়। কৃষক বোরো মৌসুমের জন্য ধানের বীজতলা তৈরি করে থাকেন।
ধানের এসব বীজ নিজেরা স্থানীয়ভাবে তৈরি করা ও ডিলারদের কাছ থেকে বীজ কিনে তা রোপণ করেন। বীজ কোম্পানির চটকদার বিজ্ঞাপনে ও তাদের প্রতিনিধিরা প্রতিটি হাট-বাজারে সার ও কীটনাশক দোকানদারদের মাধ্যমে নিম্নমানের বীজ ও ভেজাল বীজ সরবরাহ করে থাকে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। একদিকে ফলন বিপর্যয় অন্যদিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চলতি মৌসুমের জন্য বীজ রোপণের জন্য শুরুতেই উপজেলার বীজ ডিলারদের সতর্ক করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। প্রতিটি ডিলারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের বীজের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব ডিলারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক বীজের বিশুদ্ধতা ও গুণগত মানসম্মত বীজ বিক্রি করার জন্য পরামর্শক হিসেবে কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বীজের ভেজাল রোধের পাশাপাশি কৃষকদের ভালো বীজ কেনার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তারা কৃষকদের ভিত্তি বীজ, প্রত্যায়িত বীজ ও মানঘোষিত বীজ কেনার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার আর বীজে ভেজাল শব্দটি শুনতে চাই না। নিম্নমানের বীজ বিক্রি করে ফায়দা লোটার দিন শেষ। ভেজাল বীজ বিক্রি করলে কোনো ক্রমেই ছাড় দেয়া হবে না।
কৃপ্র/এম ইসলাম