কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ১ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সুত্র বাসসকে এই তথ্য জানিয়েছে। ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চ ফলন ও ভালো মূল্য পাওয়ায় কৃষকেরা গম চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। গত কয়েক বছর যাবৎ এ অঞ্চলে গম চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।কৃষিবিদ রহমান জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট (বারি) উচ্চ ফলনশীল জাতের (এইচওয়াইভি) গমের বীজ সরবরাহ করায় কৃষকদের মাঝে গমচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
২০০৯ সাল থেকে বারি ছয় প্রকার এইচওয়াইভি গমের বীজ সরবরাহ করছে, যা তাপ সহিঞ্চু। বারি গম -২৬ একটি তাপ সহিঞ্চু জাতের গম। অন্য জাতেরগুলো মেয়াদি চাষের গম।
বারি’র আঞ্চলিক গম গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, এসব কারণে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলাতেই গমের চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন কম পানিতে গম আবাদ করা যায় বলে এখানকার কৃষকেরা আরো বেশি জমিতে গমের চাষ করছেন।
ড. ইলিয়াস বলেন, আমরা বেশি করে সর্বশেষ জাতের গমের বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষকদের জন্য তিনশ’ প্রদর্শনী প্লটের উন্নয়ন করেছি। এছাড়াও উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারাভিযান ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরিন খাদ্য চাহিদা মেটানো ও খাদ্য আমদানি কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নতজাতের গমের বীজ ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিন দিন গমের আবাদ বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫ লাখ টন গমের চাহিদা থাকলেও ১০ লাখ মেট্রিক টনের মতো গম উৎপাদন হচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম