কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে ২০১৬-২০১৭ মাড়াই মৌসুম ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রস্তুতি মূলক কাজের সময় স্টিম লাইনে ত্রুটির কারণে মাড়াই শুরুর জন্য পূর্ব নির্ধরিত ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১২ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এটি হবে জয়পুরহাট চিনিকলের ৫৪তম আখ মাড়াই মৌসুম। এ জন্য প্রস্তুতি মূলক সকল কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
চলতি মাড়াই মৌসুম উদ্বোধনের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল ৯ ডিসেম্বর। প্রস্তুতিমূলক কাজের সময় গত ২ ডিসেম্বর ৩নং বয়লারের স্টিম লাইনের সংযোগ ভাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয় ইঞ্জিনিয়ার শাজাহান কবীর (৩৮), বয়লার হেলপার নাজমুল (৩৫), বয়লার ফিডার লুৎফর রহমান (৩৪) ও বয়লার ফার্নিস লেবার আব্দুল হান্নান (৩৫)। তাদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাজাহান ও নাজমুলের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানান, চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (ফ্যাক্টরী) শাখাওয়াত হোসেন।
চলতি মাড়াই মৌসুমে ৭০ হাজার মে.টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৯শ’ মে. টন চিনি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০১৫-২০১৬ মাড়াই মৌসুমে ৪৪ হাজার ৩০৫ মে. টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৪২ মে. টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল। বর্তমানে ২০ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৩ হাজার মে. টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে। অন্যান্য বারের মতো এবারও চিনিকল চত্বরে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এবার আখের মূল্য মিলগেটে প্রতি কুইন্টাল ২৭৫ টাকা এবং বাইরের আখ ক্রয় কেন্দ্রে ২৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আখ চাষীদের মূল্য পরিশোধের সুবিধার্থে ডাস্ বাংলা মোবাইল ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
আখ চাষে উৎসাহ প্রদানের জন্য ৩ হাজার ২শ’ ৭১ জন আখ চাষীর মাঝে এবার ঋণ বিতরনের পরিমাণ হচ্ছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৭ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে বীজ, সার ও কীটনাশক । গত আখ রোপণ মৌসুমে রোপা পদ্ধতিতে (এসটিপি) আখ রোপণের জন্য ৩ হাজার ৮৭ জন আখ চাষীর মধ্যে ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভূর্তকি প্রদান করা হয়েছে।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল জানান, আখ মাড়াই মৌসুম শুরু উপলক্ষে ফ্যাক্টরীর ভিতরের কার্যক্রমের পাশাপাশি জয়পুরহাট চিনিকলের অধীনে ১০ সাব-জোনে ৭৮টি আখ ক্রয় কেন্দ্রে আখ কেনা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম