কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশালে বাজারে নতুন চাল উঠতে শুরু করায় জেলায় কমতে শুরু করেছে চালের দাম। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা মূল্য কমেছে বিভিন্ন চালের বাজারে। অগ্রাহায়নের শেষের দিকেই কৃষকের গোলায় নতুন ধান-চাল উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন স্থানে চলছে নবান্ন উৎসব। অধিকাংশ চালের মিলে নতুন চাল তৈরিতে ব্যস্ততা দেখা গেছে।
নগরীর ফরিয়াপট্রি ও চালপট্রি ঘুরে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত বাজারে নতুন চাল আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। এসব চালের মধ্যে গুটি স্বর্ণা, দুধ কলম, কাজলা, জিরা মিনিকেট, দশ, তেইশসহ বিভিন্ন প্রকারের চাল রয়েছে। এর মধ্যে গুটি স্বর্ণা গত মাসে বিক্রি হয়েছে ৩৭ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। দুধ কলমের কেজি ৩২ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরা মিনিকেট ৪২ টাকার পরিবর্তে এখন ৩৯ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। মূল্য স্থীতিশীল রয়েছে মিনিকেটের কেজি ৪৫ ও আঠাশ কেজি ৪০ টাকা দরে। চালের আমদানি আরো বাড়লে সামনের দিনগুলোতে দাম আরো কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
জেলার মূলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের চরাঞ্চল, উজিরপুর, বানরীপাড়া ও গৌরনদীতে ইতোমধ্যে নতুন ধান-চাল আসতে শুরু করেছে। কৃষকরা দিন-রাত ধান সিদ্ধ ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত থাকছেন। কেউ কেউ ধান থেকে চাল করে বাজারে পাঠাচ্ছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নাটোর থেকেও বিভিন্ন জাতের চাল আসছে স্থানীয় বাজারে।
এদিকে চালের দাম কমাতে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
চালের দাম প্রকার ভেদে ২ থেকে ৫ টাকা কমেছে। বটতলা বাজারের চাল বিক্রেতা মো. মাছুম বলেন, সপ্তাহখানেক হলো চালের দাম কমেছে। মূল্য কমায় বিশেষ করে নি¤œ মধ্যেবিত্তদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। চাল কিনতে আসা দিনমজুর হামিদ আলী বলেন, গত কয়েক মাস চালের দাম বেশি থাকায় তাদের বেশ কষ্ট হয়েছিল। বর্তমানে মূল্য কমাতে খুশি তিনি। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম কেন হঠাৎ বাড়ে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানান এই দিন মজুর।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম