কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষিখামার করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সেলিম। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও, চাকরি না খুঁজে নিজেই তৈরি করেছেন চাকরির ক্ষেত্র, তার এই কৃষি খামার তৈরির সাফল্য দেখে এখন এলাকার অন্যান্য যুবকও তৈরি করছেন কৃষিখামার। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খামারি সেলিম, নবাবগঞ্জ উপজেলার ২ নাম্বার জয়পুর ইউনিয়নের কাতলমারি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। সে ২০০৯ সালে স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে ইউনাইটেড কিংডম (যুক্তরাজ্য) ইউনিভার্সিটিতে ফাইন্যান্স এবং একাউন্টিং বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে, ওই দেশে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানিতে চাকরি করার পর, নিজে কিছু করার জন্য দেশে ফিরে আসেন, নিজ দেশে এসে তার নিজস্ব সম্পত্তিতে গড়ে তোলেন একের পর এক কৃষি, বনজ ও ফলদ, গরুর খামার।
খামারি সেলিম বলেন, বর্তমানে তার ৩০ বিঘায় হাড়িভাঙ্গা ও আম্রপালি আম বাগান, ১৬ বিঘায় তিলচাষ, ১৭ বিঘায় জিরা ধান, ৬ বিঘা জমিতে সরিষা ও ৩ বিঘা জমিতে নেপোলিয়ান ঘাসের চাষ করেছেন, এ ছাড়া তার একটি গরুর খামার আছে সেখানে ১৮টি ষাড় ও ৬০টি দুগ্ধজাত গরু আছে। এক একর জমিতে মালটা চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, এখন তিনি নিজেই ভার্মিজ কম্পোস্ট সার তৈরির ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করবেন। তার প্রতিটি প্রজেক্ট ঘুরে দেখা যায় প্রত্যন্ত গ্রামের সবুজঘেরা আমবাগান, তিলচাষ, ধানচাষ, গোয়ালভরা গরু সবমিলিয়ে মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ গড়ে তুলেছেন নিজ উদ্যোগে, তার এই সফলতা দেখে এখন ওই এলাকার বেকার যুবকরা খামার করার উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, মো. সেলিম একজন সফল খামারি, এজন্য তাকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি এবং যে কোনো প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা তাকে সেই সহযোগিতা দেবো। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, সেলিমের ভার্মিজ সার উৎপাদনের উদ্যোগকে আমরা সহযোগিতা দিচ্ছি, ভার্মিজ সার এমন একটি জৈবসার, যা জমির তিনটি ঘাটতি পূরণ করে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম