কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদীর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে দুর্গাপুর উপজেলার আয়তন। ইতোমধ্যে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের শিবগঞ্জ, ডাকুমারা, বিজয়পুর এবং দুর্গাপুর পৌর এলাকার অনেক জায়গা বিলীন হয়ে গেছে। ওইসব এলাকার ৫ শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
নদীর ভাঙন থেকে সড়ক রক্ষার জন্য নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে শিবগঞ্জ এবং ডাকুমারা এলাকার কিছু অংশ পাকা ব্লক দিয়ে বাঁধ দিলেও বছর যেতে না যেতেই তা ধসে পড়েছে। এরপর আর সড়ক রক্ষার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ওই সমস্ত এলাকার শত শত বাড়িঘর এখন সোমেশ্বরীর হুমকির সম্মুখীন। যে কোনো সময় বাড়িঘর ও জমি নদীতে বিলীন হতে পারে। এছাড়া বিজয়পুর-ডাকুমারা সড়ক রক্ষা বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কুল্লাগড়ার লোকজন জানান, তারা সব সময়েই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন । কারণ কখন সোমেশ্বরীর প্রবল স্রোত তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে যায়। গত কয়েক বছর যাবত্ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তারা আরো জানায়, প্রতিবছর যে হারে সড়ক, বাড়িঘর ভাঙছে, এক সময় শিবগঞ্জ বাজার এবং ডাকুমারা সড়কের কোনো চিহ্নই থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। তারা অবিলম্বে নদী ভাঙনের কবল থেকে এই এলাকার বাড়িঘর, দোকান এবং সড়ক রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ডাকুমারা সড়ক রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাঁধটি পুনঃসংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় এমপি ছবি বিশ্বাস জানান, তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছেন, যাতে বিধ্বস্ত অংশ পুনরায় সংস্কার করা যায়।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম