কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমাদের অনেকেরই একটা সাধারণ ধারণা আছে যে, বনসাই এক বিশেষ ধরনের গাছ৷কথাটা সত্য যে, বিশেষ কয়েক ধরনের গাছকে সহজেই বনসাই করা যায়৷ তবে তার মানে এই নয়, বনসাই আলাদা কোনো প্রজাতির গাছ৷ ছোট পাতা-ফুল-ফল হয় এমন যেকোনো ধরনের বৃক্ষকে বনসাইয়ে রূপ দেওয়া যায়৷ যেমন- বট বা পাকুড় গাছের পাতা আকারে খুব বড়ও নয়, ফল হয় ছোট, আবার এ গাছ দীর্ঘায়ু এবং অনেক বড়ও হয়, তাই সহজে একে বনসাই করা যায়৷
কিন্তু রাবার গাছের পাতার আকৃতি অত্যধিক বড় হওয়ায় একে বনসাই করা যায় না৷ মনে রাখতে হবে, ছোট্ট একটি টবে বড় একটি গাছের ক্ষুদ্র সংস্করণই বনসাই৷ আবার এও মনে রাখা দরকার যে টব এবং গাছের সুসমন্বয় না হলে সার্থক বনসাই সৃষ্টি হয় না৷ বনসাই চর্চা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন অনেক নতুন নতুন স্থানীয় গাছ বনসাই হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে৷
বাংলাদেশে বট, আমলকী, তেঁতুল, করমচা সার্থক বনসাই হওয়ায় এসব গাছকে বামন করার নানা কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে৷ কখনো গাছের সঙ্গে তার ডাল-পাতাকেও মানানসই করতে ছোট আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ বনসাই এক জীবন্ত ভাস্কর্য৷ ধ্রুপদী জাপানি বনসাইয়ের নির্দিষ্ট কিছু আকৃতি রয়েছে৷ কিন্তু কোনো শিল্পকলাই যেমন নিয়মের কঠোর ঘেরাটোপে বন্দি নয়, তেমনি বনসাইও ধরাবাঁধা ছাদে বন্দি নয়৷ বহু বনসাই আছে, যা নিয়ম অমান্য করেই অপরূপ হয়ে উঠেছে৷ যে বনসাই দেখতে ভালো লাগে, মনকে আনন্দ দেয় তাকেই সার্থক বনসাই বলা যায়৷
কৃপ্র/ এম ইসলাম